Calcutta High Court: জোড়া খুনের মামলার তদন্ত থেকে অব্যাহতি চাইলেন IPS দময়ন্তী সেন, কী যুক্তি দিলেন?
Calcutta High Court: ২০১৮ সালের ১৪ মে কাকদ্বীপে স্থানীয় সিপিএম কর্মী দেবপ্রসাদ দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষারানি দাসের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ঘরে আগুন লাগিয়ে ওই দম্পতিকে পুড়িয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ সিট গঠনের নির্দেশ দেয়।

কাকদ্বীপ: সাত বছর আগে একটি জোড়া খুনের অভিযোগ। সেই ঘটনার তদন্তে গঠিত SIT থেকে এবার অব্যাহতি চাইলেন আইপিএস দময়ন্তী সেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে আবেদন করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, নানা রোগে তিনি আক্রান্ত। ফলে একদিকে গাড়ি চড়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মানসিক চাপ নেওয়া বারণ। এই অবস্থায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে ওই আবেদনে।
২০১৮ সালের ১৪ মে কাকদ্বীপে স্থানীয় সিপিএম কর্মী দেবপ্রসাদ দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষারানি দাসের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ঘরে আগুন লাগিয়ে ওই দম্পতিকে পুড়িয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ সিট গঠনের নির্দেশ দেয়। এবং সিটের নেতৃত্ব দেবেন দময়ন্তী সেন। এই আইপিএস অফিসারকেই সিটের বাকি অফিসারদের বেছে নিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।
রাজ্য সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এবার এই তদন্তের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিচারপতি মান্থার এজলাসে আবেদন জানালেন দময়ন্তী সেন।
২০১৮ সালের ওই খুনের মামলায় নাম জড়ায় একাধিক তৃণমূল নেতার। সেই মামলায় পুলিশের তদন্তে বিস্তর ত্রুটি উঠে আসে বিচারে। তারপরই সিট গঠন করে দময়ন্তীকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি মান্থার এজলাস। মৃত দম্পতির ছেলে নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন।

