Civic Volunteer: সিভিক ভলান্টিয়ারদের ‘শিক্ষকগিরি’ আপাতত বন্ধ, জেলাশাসক-পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব শিক্ষা দফতরের
Bankura Civic Volunteer: বাঁকুড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে পড়ানো আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। কেন দফতরের অনুমোদন ছাড়াই স্থানীয় জেলা প্রশাসন এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে শিক্ষা দফতর।

কলকাতা: বাঁকুড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) দিয়ে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুখ খুলেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে বাচ্চাদের ক্লাস করানোকে বর্তমান শতাব্দীতে ‘পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা সঠিকভাবে চালাতে না পারলে রাজ্য সরকার যাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়, এমন কটাক্ষও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এবার পদক্ষেপ করল শিক্ষা দফতর। বাঁকুড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে পড়ানো আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। কেন দফতরের অনুমোদন ছাড়াই স্থানীয় জেলা প্রশাসন এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে শিক্ষা দফতর। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন বিভাগীয় সচিব। বৃহস্পতিবার এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
শিক্ষামন্ত্রী জানাচ্ছেন, বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার হয়ত স্থানীয় স্তরে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের থেকে কোনও অনুমোদন নেই। তাই বিভাগীয় সচিব তাঁদের জানিয়েছেন, এই বিষয়ে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করতে। শিক্ষা দফতরের কাছে সেই আবেদন এলে, তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের কাছে পাঠাতে হবে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল অনুমোদন দিলে, তবেই এই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। তাই আপাতত সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে ক্লাস করানোর এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।
কিন্তু এভাবে কি সিভিক ভলান্টিয়াররা বাচ্চাদের ক্লাস নিতে পারেন? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বিষয়টি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘এই নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না। এটি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে যাঁরা আছেন, তাঁরাই বিবেচনা করে দেখবেন। স্থানীয় স্তরে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা রিপোর্ট না এলে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’ ব্রাত্য বসু অবশ্য একটি কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দফতরের সঙ্গে আগে কথা বলে নেওয়া উচিত।
