Delivery Boy Death: ডেলিভারি বয় বিকির পকেটে বাংলায় লেখা সুইসাইড নোটটাই অনেক কিছু বলে দিচ্ছে! কী লেখা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে?
Death Mystery: বিকি মল্লিকের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু, পরিবারের লোকজনের প্রশ্ন, প্রিয়াঙ্কাকে ধরা গেলেও তাঁর 'প্রেমিক' সুমনকে ধরা যাচ্ছে না কেন? বিকির পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, এই সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স আর্মি, বর্তমানে পার্সোনাল বডি গার্ডের কাজ করেন।

কলকাতা: বাড়ি থেকেই নিথর অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বিকিকে। প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা ত্রিকোণ প্রেমের কথাও বলতে শুরু করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে স্ত্রী ও তাঁর বন্ধুর উপস্থিতি নিয়েও। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। কিন্তু বিকির পকেট থেকে পাওয়া চিঠি ঘিরে বাড়ল বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার রাতে বালিগঞ্জের পদ্মপুকুর এলাকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিকির দেহ। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বালিগঞ্জ থানায় মৃত যুবকের স্ত্রী’র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে বিকির পরিবার। যুবকের মৃত্যুর কারণ আসলে কী, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বিকি মল্লিকের পরিবারের লোকের অভিযোগ, তাঁর মৃত্যুর পিছনে বিকির স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা মল্লিক এবং প্রিয়াঙ্কার ‘বয়ফ্রেন্ড’ সুমন মজুমদারের হাত রয়েছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘অ্যান্টি মর্টেম হ্যাংগিং’ বা গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
এদিকে, বিকি মল্লিকের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি বাংলায় লেখা। বিকি মল্লিকের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, এই সুইসাইড নোট বিকির হাতে লেখা নয়, কারণ তিনি বাংলা লিখতে পারতেন না। যদিও গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বিকি মল্লিকের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু, পরিবারের লোকজনের প্রশ্ন, প্রিয়াঙ্কাকে ধরা গেলেও তাঁর ‘প্রেমিক’ সুমনকে ধরা যাচ্ছে না কেন? বিকির পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, এই সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স আর্মি, বর্তমানে পার্সোনাল বডি গার্ডের কাজ করেন। তাঁর হাতে বন্দুকও থাকত আর বন্দুক দিয়ে সবাইকে ভয় দেখাতেন বলেও অভিযোগ।
প্রতিবেশীদের দাবি, সুমনের বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী-সন্তান। ঘটনার দিন থেকেই সুমন পলাতক। পুলিশের এই ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিকির পরিবারের লোকজন।
বিকি মল্লিক পেশায় ডেলিভারি কর্মী ছিলেন। তাঁর দিদির অভিযোগ, বিকির স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা মল্লিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হত। বিবাহ বহির্ভূতে সম্পর্কে যাতে বাধা দিতে না পারেন, সেজন্য বিকিকে বেশিরভাগ সময় মদ্যপান করিয়ে রাখা হত।
