কলকাতা: “ভোট দেখে পুজো করা উচিত নয়। পুজো করাতে তো কোনও আপত্তি নেই।” এবার বিজেপির দুর্গাপুজো করাতে তেমন কোনও আগ্রহ না থাকায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সোজাসাপটা উত্তর দিলেন দিলীপ ঘোষ। মহালয়ার ভোটে নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পূজার বিধি অনুযায়ী পূজা হওয়া উচিত। ভোট দেখে পূজা করা ঠিক নয়।”
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের আগে গত দু’বছর ধরে দুর্গাপুজো নিয়ে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। ল্টলেকের ইজেডসিসি-তে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল বিজেপি। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে যেই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এবছর আর পুজো নিয়ে হেলদোল দেখা যাচ্ছে না বিজেপি নেতাদের।
রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করে, যেহেতু এ বছর নির্বাচন হচ্ছে না, তাই পুজো নিয়ে খুব একটা হেলদোল দেখাচ্ছেন না বিজেপি নেতারা। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের এ বিষয়ে বিশেষ মন্তব্য করতেও দেখা যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন. “যাঁরা পুজো করেছিলেন, তাঁদের চিন্তা ভাবনা করা উচিত এটা। পুজো করতে আপত্তি নেই। কয়েকজন মিলে পুজো করতেই পারেন। যেহেতু এবার বড় বড় পুজো হচ্ছে না, একটা হলের মধ্যে পুজো হলে ভালই হবে। লোকজন দেখতে পাবেন।”
যদিও মঙ্গলবারই দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “পুজো করাটা কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। আমি প্রথম থেকে পুজোর পক্ষে ছিলাম না।” গত বছরের গতবছরের মতো এবছর পুজোকে ঘিরে বিশেষ কোনও চমক দেখাচ্ছে না বিজেপি। তবে সূত্রের খবর, দলের কর্মীদের মধ্যে পুজো করার আগ্রহ তুঙ্গে। নেতৃত্বের কাছে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। দিলীপ ঘোষ বলেন, “দলের কয়েকজন নেতা আগের বছর দুর্গাপুজো করেছিলেন, এবারও করবেন।দলের তরফে কোনও দুর্গাপুজো করা হয় না। দুর্গাপুজোয় মানুষ যেন আনন্দ করতে পারে, বিধিনিষেধ কিছু শিথিল করা হোক।” তবে একবার পুজো হওয়ার পর বাকি দুবার সেটা না হলে তা বিরোধীদের জন্যও রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিজেপি সমর্থকদের একাংশ।
এরই মধ্যে সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ঘরওয়াপসি-র গুঞ্জন দানা বেঁধেছে। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন. “আমার এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।”
আরও পড়ুন: COVID: ঘাটে ঘাটে শয়ে শয়ে ভিড়, চুলোয় দূরত্ববিধি! করোনা ভুলে তর্পণের চেনা ছবি ফিরল বছর খানেক পর
আরও পড়ুন: Mahalaya 2021: ‘মেঘ দেখলেই ভয় লাগছে, আবার যদি…’, নৌকায় বসেই মহালয়া শুনলেন ঘাটালবাসী