Dilip Ghosh: ‘ইচ্ছা হলে হতে পারে…’, তৃণমূলে যাচ্ছেন দিলীপ? EXCLUSIVE সাক্ষাৎকারে পরিস্কার করলেন সবটা
Dilip Ghosh EXCLUSIVE: তথাগত রায় তো বলেই দেন, “এর মধ্যে যে রাজনীতির গন্ধটা রয়েছে, সেটাকে অস্বীকার করাটা খুব ন্যাকামি হবে। কোন পথে যে উনি চলেছেন, তারই একটা আভাস পাচ্ছি।” বঙ্গ রাজনীতিতে প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করে, দিলীপ ঘোষ কি তৃণমূলে যাচ্ছেন? TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এসে এবার সে ব্যাপারে মুখ খুললেন দিলীপ।

কলকাতা: সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষের দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ- যা নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি! বিতর্ক পৌঁছয় এমন পর্যায়ে, যেখানে বিজেপিরই অনেকে রাজনীতির সমীকরণের অন্য গন্ধ পেতে শুরু করলেন। বিজেপির প্রবীণ নেতা তথাগত রায় তো বলেই দেন, “এর মধ্যে যে রাজনীতির গন্ধটা রয়েছে, সেটাকে অস্বীকার করাটা খুব ন্যাকামি হবে। কোন পথে যে উনি চলেছেন, তারই একটা আভাস পাচ্ছি।” বঙ্গ রাজনীতিতে প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করে, দিলীপ ঘোষ কি তৃণমূলে যাচ্ছেন? TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এসে এবার সে ব্যাপারে মুখ খুললেন দিলীপ।
দিলীপকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “হিন্দুূত্বে বলে সবই ভগবানের ইচ্ছে, তাহলে সেই ইচ্ছাতে কি তৃণমূলেও চলে যেতে পারেন?” সরাসরি দিলীপের উত্তর, “ইচ্ছা হলে হতে পারে, কোথায়… উপরে চলে যেতে পারি, তৃণমূল কী?” তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করলেন, “আমার কর্মীরা বিশ্বাস করেন, যাঁরা দিলীপ ঘোষকে দেখে বিজেপি করতে এসেছেন, তাঁরা জানেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানেন, দিলীপ ঘোষ কোনওদিনও তৃণমূলে যাবেন না।”
দিলীপ ঘোষ এটাও দাবি করলেন, দল-রাজনীতির উর্ধ্বে মানুষ হিসাবে অনেকের সঙ্গেই তাঁর ভাল সম্পর্ক। আর সেটা ধর্মেরও উর্ধ্বে। সেই সূত্রেই পুরনো একটি বিষয় গল্প করেন দিলীপ। বলেন, “একটা মজার কথা বলি। আমার সঙ্গে একবার দেখা হয়েছে। বিধানসভায় একটা বৈঠক ছিল। আমি একটা গেরুয়া জামা পরে গিয়েছি। স্পিকার একটা বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন। ১৫-২০জন এমপি এসেছিলেন, আমিও তখন এমপি ছিলাম। তখন মান্নান দা আর ববিদা এসে আমাকে দুদিক থেকে জাপটে ধরেছিলেন। বলছেন, দুই মুসলমান দেখেছো, তোমাকে চেপ্টে দেব। আমিও বলেছিলাম, রংটা দেখেছো তো, পাল্টে যাবে তোমাদের রং।” তাঁর কথায়, “আমি লোকের সঙ্গে এভাবেই মিশি। আমি মান্নান দার বাড়ি গিয়েছি, সোমেন মিত্রের বাড়ি গিয়েছি। তাঁরা তো কেউই পার্টির লোক ছিলেন না। আমি বন্ধুত্ব করতে পারি বলে পার্টিটা বেড়েছে।”
প্রসঙ্গ, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন সস্ত্রীক নিমন্ত্রণ রক্ষা করা, আর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতে কম জলঘোলা হয়নি। দলের অন্দরেই তাঁকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে কৌস্তভ বাগচীও তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। যদিও পাশে দাঁড়িয়েছেন বেশ কয়েকজন। এহেন পরিস্থিতিতে দিলীপের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্ল্যানিং নিয়েও কথা উঠতে শুরু করেছিল। এবার তার সমাপতন!

