Dilip VS Suvendu: দিলীপ ঘোষেই মজে সোশ্যাল মিডিয়া, ‘লড়াইয়ে’ অনেক পিছনে শুভেন্দু
ফেসবুক পেজ রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ দু'জনেরই। কিন্তু দিলীপ ঘোষকে 'লাইক' করেন, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। টুইটারেও দিলীপকেই 'অনুসরণ' বেশি।
কলকাতা: একজন বিজেপির ‘আদি’ নেতা। অপরজন ‘নব্য’। তবে নব্য হলেও রাজনীতিতে নতুন নন। প্রথম জন দিলীপ ঘোষ, দ্বিতীয় জনের নাম শুভেন্দু অধিকারী। রাজনীতিতে দু’জনই পোড় খাওয়া। বরং শুভেন্দুকে এ ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়েই রাখেন রাজনীতিকরা। কিন্তু রাজনীতির কচকচানির বাইরে গিয়ে দেখলে হিসাবে উলট পুরাণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলীপ ঘোষের ভক্তের সংখ্যা অনেক বেশি। সে তুলনায় শুভেন্দু নিতান্তই ‘নবীন’। ফেসবুক, টুইটারে দু’জনের ভক্তের সংখ্যায় বিস্তর ফারাক। সেখানে শুভেন্দুকে টেক্কা দিয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির হর্তাকর্তা মানে ছিল একটাই নাম, দিলীপ ঘোষ। দলের পক্ক কেশের নেতা হোন কিংবা যুবা, সকলেরই ‘দিলীপ দা’। যিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি, একই সঙ্গে সাংসদও। গত বছর ডিসেম্বরে এই বিজেপিতে যোগ দেন এক সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্ভরযোগ্য সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর যোগদানই হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভা মঞ্চ থেকে। এর পর রাজনীতির নয়া ইনিংসে একের পর এক ছয় হাঁকিয়েছেন তিনি। বিজেপির বঙ্গ কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি দিল্লির নেতৃত্বের মনেও আলাদা নির্ভরযোগ্যতা আদায় করে নেন তিনি। বিধানসভা ভোটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোর পর তো শুভেন্দুময় বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোন কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দরবার, শুভেন্দু দিল্লি গেলেই অনায়াসে তাঁদের একান্ত সাক্ষাতের সময় পান। বড় কোনও সিদ্ধান্তে শুভেন্দুর থাকা চাই-ই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদও তাঁকেই দিয়েছে দিল্লি নেতৃত্ব। আর এ ভাবেই শুভেন্দু অধিকারী ধীরে ধীরে বঙ্গ বিজেপির মুখ হয়ে উঠেছেন।
এ সব তো গেল রাজনীতির হিসাব-নিকেষ। কিন্তু এর বাইরেও যে রাজনৈতিক নেতাদের এখন একটা পরিসর তৈরি হয়েছে, যার নাম সোশ্যাল মিডিয়া। এই সোশ্যাল মিডিয়ায় কার কত জনপ্রিয়তা তার নিরিখেও যে বিচার হয় সেই নেতার ‘ক্যারিশ্মা’। সেই নিক্তিতে মেপে দেখলে দিলীপ ঘোষ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর থেকে ঢের এগিয়ে। অর্থাৎ ‘বল্গাহীন’ মুখের কথা যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হয়, একই ভাবে তাঁর ‘ফ্যান ফলোয়ারের’ সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ‘গরুর দুধে সোনা’ কিংবা ‘শিল্পীদের রগড়ে দেওয়ার’ মতো বিতর্ক তৈরি করা ‘বক্তা’র জনপ্রিয়তা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতমতো নজরকাড়া।
ফেসবুক পেজ রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ দু’জনেরই। কিন্তু দিলীপ ঘোষকে ‘লাইক’ করেন, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। দিলীপ ঘোষের পেজে লাইকের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ১০৯। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর পেজে লাইকের সংখ্যা মাত্র ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৮৫। একই রকম ভাবে টুইটারেও দিলীপই ‘রাজা’। বিজেপির রাজ্য সভাপতির ‘ফলোয়ার’ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি। সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে ফলো করছেন মাত্র ১ লক্ষের কিছু বেশি মানুষ। যদিও শুভেন্দুর ‘স্ট্রাইক রেট’ কিন্তু চোখে পড়ার মতো। ২০২০ সালে তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলটি খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে এই ফলোয়ার। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের টুইটার প্রোফাইলটি ২০১৬ সালের জানুয়ারির।
বঙ্গ বিজেপির দুই তারকারই জোর লড়াই ফ্যান পেজে। সেখানে শুভেন্দু দিলীপকে ‘বিট’ করেছেন অনায়াসেই। প্রায় ১৪-১৫ টি ফ্যান পেজ, গ্রুপ মিলিয়ে কয়েক কোটি সাপোর্টার শুভেন্দুর। যেখানে দিলীপের ফ্যান পেজের সংখ্যা তুলনামূলক কম। আরও পড়ুন: ফি মকুবের ঘোষণা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের! অতিমারির আবহে নিঃসন্দেহে বড় পদক্ষেপ