দূরত্ব মিটিয়ে কাছাকাছি আসার চেষ্টায় সিপিএম-আইএসএফ, হাল ছাড়ছেন না নওশাদরা

এতকিছুর পরও অবশ্য জোটের আশা ছাড়ছে না আইএসএফ। সিপিএমের পক্ষ থেকে কোনও যৌথ কর্মসূচির উদ্যোগ না নেওয়া হলেও আইএসএফ-র কর্মসূচিতে বাম নেতৃত্বে আহ্বান জানানো হয়েছে।

দূরত্ব মিটিয়ে কাছাকাছি আসার চেষ্টায় সিপিএম-আইএসএফ, হাল ছাড়ছেন না নওশাদরা
টিকে থাকবে জোট? চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নওশাদরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2021 | 5:04 PM

কলকাতা: মুখে মুখে সম্পর্ক থাকলেও ভোট মেটার পর থেকে সিপিএম ও আইএসএফ-র মধ্যে ফাটল সময়ে সঙ্গে বেড়েছে। শেষ ৪ মাসে মাত্র একবার এক আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন আইএসএফ ও বাম নেতৃত্ব সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বও বারংবার একটা বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছিল, জোট ছিল কেবলই নির্বাচন কেন্দ্রিক। নির্বাচনী পর্যালোচনায় পার্টির চিঠিতেও ব্যর্থতার জন্য আইএসএফ-র সঙ্গে জোটকেই দায়ী করা হয়েছিল। এতকিছুর পরও অবশ্য জোটের আশা ছাড়ছে না আইএসএফ। সিপিএমের পক্ষ থেকে কোনও যৌথ কর্মসূচির উদ্যোগ না নেওয়া হলেও আইএসএফ-র কর্মসূচিতে বাম নেতৃত্বে আহ্বান জানানো হয়েছে।

আগামিকাল, অর্থাৎ শনিবার মধ্যমগ্রামে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির তরফে। সূত্রের খবর, সেই কর্মসূচিতেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিমানও সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ভাঙন কবলিত এলাকা যৌথভাবে পরিদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সপ্তাহান্তে মালদা-মুর্শিদাবাদের ভাঙনে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন মহম্মদ সেলিম এবং বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। হাজারো বিতর্ক সত্ত্বেও আইএসএফ ও সিপিএমের এই উদ্যোগকে জোট ধরে রাখার একপ্রকার প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।

সংযুক্ত মোর্চার দুই সঙ্গী আইএসএফ ও কংগ্রেসের সঙ্গে আদৌ যৌথ কর্মসূচি করা হবে কি না, এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ধন্দে রযেছে সিপিএম। নির্বাচনী পর্যালোচনার চিঠি যেন সেই ধন্দ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে এই জোটকে নির্বাচনী জোট বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে যৌথ কর্মসূচির আয়োজন না হওয়ায় জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ অন্ধকার কি না, তখনই সংযুক্ত মোর্চার যৌথ কর্মসূচি দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত এই জোট টিকে গেলেও যেতে পারে।

যদিও আরেকাংশ মনে করছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে এই জোট নিয়ে কোনও ইতিবাচক সংকেত আসছে, ততক্ষণ জোট টিকে যাওয়ার আশা না করা ভাল। কারণ এই নিয়ে ও আইএসএফ নিয়ে পার্টি চিঠিতে লেখা হয়েছিল–কংগ্রেস ও আইএসএফ-র সঙ্গে জোট করা উচিত হয়নি। আইএসএফ নিজের ধর্মীয় পরিচয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়েই এই জোট করা হয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট হলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফ-র যে কখনই জোট হয়নি, সেটাও স্বীকার করে নেওয়া হয়।

য নিয়ে পাল্টা দিতে ছাড়েননি আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “আমরা সিপিএমের সঙ্গে জোট বজায় রাখতে আগ্রহী। সিপিএমের সঙ্গে আমাদের সেভাবে সম্পর্ক কখনও তিক্ত হয়নি। বামেদের তরফ থেকে লিখিত আকারে যে স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়েছে তা আমার হাতে এখনও এসে পৌঁছয়নি। আমি পড়িনি। ওঁদের যদি মনে হয় থাকে আইএসএফের সঙ্গে জোটের জন্য পরাজয়, তবে বলে দেওয়া হোক কোথায় কোথায় আমাদের কী কী ভুল হয়েছে। ধর্মীয় পরিচয় ত্যাগ করতে গেলে দাড়ি কাটব না টুপি খুলব তা ওঁরাই বলে দিন।” আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কলেজের অধ্যাপকের