কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বামেরা
Municipality Vote: কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় নির্বাচন করানো এবং প্রশাসক পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করতে চলেছে বামেরা (Left)। আগামী মাসেই দায়ের হবে এই মামলা।
কলকাতা: কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় নির্বাচন করানো এবং প্রশাসক পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করতে চলেছে বামেরা (Left)। আগামী মাসেই দায়ের হবে এই মামলা। বামেদের হয়ে সংশ্লিষ্ট মামলা লড়বেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। বুধবার শিলিগুড়িতে এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকারে এমনটাই জানালেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য (Asok Bhattacharya)।
এদিন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা পুর প্রশাসক অশোকবাবু বলেন, “রাজ্যে সমস্ত পুরসভায় প্রাক্তন কাউন্সিলরদের কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করলেও শিলিগুড়িতে কেন আলাদা নিয়ম হবে? পৌর আইন অনুযায়ী, ছয় মাস প্রশাসক রাখা যায়। ফের প্রয়োজনে আরও ছ’মাস প্রশাসকের মেয়াদ বাড়ানোও যায়। কিন্তু তার চেয়ে আর বেশি মেয়াদ বাড়ানো যায় না। এদিকে রাজ্যে সমস্ত পুরসভায় আইন ভেঙে এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রশাসকেরা আছেন। তাই মামলা করছি আমরা।”
উল্লেখ্য, রাজ্যের ১২৫ টি পুরসভার মধ্যে ১১২ টি পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে তিন বছর পার হয়ে গেছে ১৭টি পুরসভার। এই সমস্ত পুরসভায় অবিলম্বে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবিতে সম্প্রতি রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে রাজ্য নগরায়ন দফতরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়, মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে অবিলম্বে নির্বাচন করাতে হবে। সেই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন রবীন দেব। এবার শীঘ্রই পুরসভাগুলিতে ভোটের দাবিতে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানালেন অশোক ভট্টাচার্য।
একুশের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই পুরসভা ভোট নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। কারণ, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন আর পুরসভা ভোট করাতে পারবেন না। তার আগে রাজ্য সরকার অবশ্য জানিয়েছিল মার্চ মাসে পুরভোট করাতে প্রস্তুত তারা। কিন্তু করোনার কারণে সেই ভোট বিশ বাঁও জলে পড়ে। এদিকে পুরভোট না হওয়ার কারণে পুরসভাগুলিতে পুর প্রশাসক দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় নতুন করে পুরপ্রশাসক নিয়োগ করেছে রাজ্য। কিন্তু এঁদের কারও কাছেই কাজ করার মতো পূর্ণ ক্ষমতা থাকে না।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়ে ছিলেন পুরসভা ভোট যে কোনও সময় করানো যেতে পারে। মমতার দাবি ছিল কেন্দ্র উপনির্বাচনের দিনক্ষণ জানালেই পুরসভা ভোটের দিন স্থির করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন এখনও উপনির্বাচনের দিনক্ষণ জানাতে পারেনি। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেন তাঁরা। এদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতিরা পাল্টা উপনির্বাচন প্রক্রিয়া কেন বন্ধ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে পুর ভোটের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে সিপিএম। আরও পড়ুন: সারদা-কাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল ইডি, নাম রয়েছে দুই সাংবাদিকের