নাড্ডা-দিলীপ বৈঠক: নবাগতদের নিয়ে ‘সাবধানী’ বিজেপি, সংগঠনেও ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা
JP Nadda & Dilip Ghosh: সোমবারের বৈঠকে বঙ্গ বিজেপিতে বেশ কিছু সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার। যার মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে রাজ্য কমিটি এবং মোর্চা
কলকাতা: জেপি নাড্ডার সঙ্গে ঘণ্টাদেড়েকের বৈঠকের পর আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে মুখ খুলতে চাননি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, সোমবারের বৈঠকে বঙ্গ বিজেপিতে বেশ কিছু সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার। যার মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে রাজ্য কমিটি এবং মোর্চা। এই দুই সংগঠনেই ব্যাপক রদবদল হতে পারে, এমনটাই খবর সূত্রের। পাশাপাশি ফের একবার রাজ্যে আসতে চেয়েছেন নাড্ডা। বঙ্গে এসে বিজেপির বাস্তব ছবিটা পরিষ্কারভাবে বুঝতে চান তিনি। একই সঙ্গে অন্য দল থেকে আসা নেতাদের ক্ষেত্রেও বিজেপি বিশেষ ‘সাবধানী’ ভূমিকা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে আজকের বৈঠকের পর।
রাজ্য বিজেপিতে মোর্চা অনেক, সেই অনেক মোর্চার সভাপতি ও সম্পাদকের সংখ্যাও প্রচুর। তাই এতে যে রদবদলের প্রয়োজন রয়েছে তা স্বীকার করেছেন রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয় নেতৃত্ব। ফলে বিজেপির মোর্চাগুলির নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদল হতে পারে। এর পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য কমিটিতেও এমন বহু নেতা স্থান পেয়েছেন, যাঁরা এতদিন পর্যন্ত হাতে-কলমে কোনও কাজে আসেননি। আগামীতে আসবেন, এমন আশাও নেই। তাঁদের ছেঁটে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শূন্যস্থান পূরণে দেবশ্রী চৌধুরী এবং বাবুল সুপ্রিয়দের নাম এগিয়ে রয়েছে। এ দিন নাড্ডার হাতে দিলীপ বেশ কয়েকজনের নামও তুলে দিয়েছেন বলে খবর সূত্রের।
ভোটের ফলাফলের পর দলের অন্দরে যে রীতিমতো তুফান বয়ে গিয়েছে, তার আঁচ দিল্লিতে বসেও পেয়েছেন নাড্ডা। যে কারণে দলের বাস্তব পরিস্থিতিটা ঠিক কী, ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া কর্মীরাও বা কেমন আছেন, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যে আসতে চেয়েছেন। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও তাঁকে স্বাগত জানান। দুঃসময়ে দলের নেতারা আদতে কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কি না, ভোটের পর নীচুতলার নেতা-কর্মীদের মনোবল কেমন, সবটাই একেবারে কাছে থেকে বুঝতে চান নাড্ডা। যে কারণে রাজ্য সফরে আসতে চান তিনি। যদিও কবে নাড্ডা আসবেন সেই সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও অবধি নেওয়া হয়নি। আরও পড়ুন: এবার সদলবদলে দিল্লি যাবেন শুভেন্দু, রাজ্যকে চাপে রাখার নয়া কৌশল?
আজকের বৈঠকে তৃতীয় মূল আলোচ্য বিষয় ছিলেন বিজেপির বেসুরো নেতারা। যাঁরা অন্য দল থেকে এসে ক্রমাগত রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানাভাবে মুখ খুলছেন, তাঁদের কারণে খুব একটা স্বস্তি নেই পদ্মশিবিরে। সেই দলবদলুদের নিয়েও এ বার কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এগোচ্ছে বিজেপি। সূত্রের খবর, দিলীপ নাড্ডাকে আর্জি জানান যাতে নবাগতদের দলে বড় দায়িত্ব না দেওয়া হয়। তারপরই নবাগতদের নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অন্য দল থেকে এসে কোনও নেতা যতদিন পর্যন্ত না আর্দশগতভাবে আপন করে নিতে পারছেন, ততক্ষণ তাঁকে বড় কোনও দায়িত্ব থেকে দূরেই রাখা হতে পারে। এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে। আরও পড়ুন: ‘ভিতরে কথা বাইরে বলছেন’ কারা? নাড্ডার কাছে ‘নালিশ’ জানিয়ে এলেন দিলীপ