‘ভিতরে কথা বাইরে বলছেন’ কারা? নাড্ডার কাছে ‘নালিশ’ জানিয়ে এলেন দিলীপ

Dilip Ghosh BJP: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে তিনি যে বেসুরো বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে 'নালিশ' জানিয়েছেন, তা স্পষ্টভাবেই বলে দেন দিলীপবাবু

'ভিতরে কথা বাইরে বলছেন' কারা? নাড্ডার কাছে 'নালিশ' জানিয়ে এলেন দিলীপ
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2021 | 7:52 PM

নয়া দিল্লি: হওয়ার কথা ছিল রবিবারই। কিন্তু নানা কারণে গতকাল জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেননি দিলীপ ঘোষ। সোমবার রাজধানীতে সেই বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক শেষে মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে তিনি যে বেসুরো বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে ‘নালিশ’ জানিয়েছেন, তা স্পষ্টভাবেই বলে দেন দিলীপবাবু। ‘ভিতরে কথা’ যাঁরা ‘বাইরে বলছেন’, তাঁরা আদতে দলের ক্ষতিই করছেন। প্রয়োজন পড়লে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বঙ্গ বিজেপির প্রধান।

আসন্ন সময় রাজ্য বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভবনা রয়েছে। সেই আবহে নাড্ডা ও দিলীপের এই বৈঠক হওয়ায় নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সংগঠনের কোন কোন স্তরে বদল আনা হবে, বা কোথায় বদল প্রয়োজন, এসব নিয়ে আলোচনা হতে পারে, এমন ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও বৈঠক শেষে সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন দিলীপবাবু। তাহলে কী নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হল দু’জনের? দিলীপের কথায়, “নির্বাচনের ফলাফলের পর অনেক ঘটনা ঘটেছে। এখন মানুষ কী ভাবছে কর্মীদের মনোভাবও বা কী রকম, তাই নিয়ে আলোচনা হল। আগামিদিনে দলের কীভাবে চলা উচিত, সেই সমস্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”

তবে বিজেপির অন্দরে থাকা বেসুরো এবং বিদ্রোহীদের নিয়ে যে দল এ বার কড়া অবস্থান নিতে পারে, তা আকারে-ইঙ্গিতে এ দিন স্পষ্ট করে দেন মেদিনীপুরের সাংসদ। এমনকী, এঁদের বিষয়ে জেপি নাড্ডার কাছেও যে তিনি ‘নালিশ’ করেছেন, তাও জানিয়েছেন দ্বর্থ্যহীন ভঙ্গিমায়। দিলীপের কথায়, “আমি বলেছি যে অনেকেই আছেন যাঁরা না বুঝে-শুনে কথা বলেন, এতে কর্মীদের মনোবল নষ্ট হয়। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। অনেকেই এমন মন্তব্য বাইরে করে বসছেন যা ভিতরে করা উচিত। হতাশার কারণেই এসব মন্তব্য আসছে। প্রয়োজনে দল ব্যবস্থা নেবে।” আরও পড়ুন: কিশোর চান তারুণ্য, তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলে যুবাদের ‘প্রমোশনের’ ইঙ্গিত

অন্যদিকে, দুই প্রতিমন্ত্রী হারিয়ে চার প্রতিমন্ত্রী বাংলা পেয়েছে। কিন্তু মোদী সরকারের গত ৭ বছরের শাসনকালে এখনও একজনও পূর্ণমন্ত্রী পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। এই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে দিলীপ বলেন, “নতুন নেতাদের আমরা তৈরি করি। সংগঠন ও প্রশাসনের একাধিক দায়িত্ব দিয়ে তাঁদের তৈরি করতে হয়। মন্ত্রীদের যখন অভিজ্ঞতা বাড়বে তখন তাঁরা নিশ্চই বড় দায়িত্ব পাবেন।” আরও পড়ুন: ছাড়লেন কৌশিক, পেলেন শম্পা, নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার মামলা নতুন বিচারপতির এজলাসে