Eastern Railway Head Office: ট্রেনে তো চাপেন, কিন্ত পূর্ব রেলের হেড অফিস কোথায় জানেন? কী বলছে ফেয়ারলি প্লেসের ইতিহাস
Eastern Railway Head Office: শোনা যায়, গিলমোন অ্যান্ড কোম্পানির স্বনামধন্য ব্যবসায়ী উইলিয়াম ফেয়ারলি নামেই এই ফেয়ারলি প্লেসের নামকরণ হয়। এই সংস্থা আবার লর্ড ওয়েলেসলির আমলে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সেনা বিভাগের হাতি এবং উটের খাবার পাঠাত। ইতিহাস কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
কলকাতা: ট্রেনে তো চড়েন কিন্তু জানেন কি পূর্ব রেলের হেড অফিস আগে কোথায় ছিল? ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের বড় বাড়িটাকে যাতায়াতের পথে দেখেছেন নিশ্চয়। ব্রিটিশ আমলের স্মৃতি চিহ্ন বইতে বইতে আজও কলকাতার মায়া বাড়িয়ে চলেছে এই ভবনটি। বর্তমানে পূর্ব রেলের সদর দফতরের ঠিকানা এটা হলেও আগে কিন্তু এর পরিচিতি ছিল অন্য কারণে। এখানে ছিল না পূর্ব রেলের সদর দফতর। ইতিহাস বলছে, ১৮৭৯ সালে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের অফিস এই ফেয়ারলি প্লেসে স্থানান্তরিত হয়। লোকমুখে এই ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়েই ধীরে ধীরে ইস্টার্ন রেলওয়ে বা পূর্ব রেলওয়ে হিসাবে পরিচিত হয়ে যায়।
কী বলছে ইতিহাস?
নতুন ভবনে পূর্ব রেলের হেড অফিস স্থানান্তরিত হওয়ার আগে থিয়েটার রোডে একটি ভবন থেকে পূর্ব রেলের সদর দফতরের কাজ হতো। তবে যুগ যুগ ধরে যে এই ফেয়ারলি প্লেস ছিল এমনটা নয়। ১৭৯৪ সালে প্রথম ফেয়ারলি প্লেসকে খুঁজে যায় এক প্রাচীন মানচিত্রে। সেই মানচিত্রে একটি নামহীন রাস্তার দেখা মেলে। যা আবার পুরনো কেল্লার ঘাটকে সংযুক্ত করছে। এখানেও রয়েছে আরও এক ইতিহাস। ১৭৭৩ সালে ফোর্ট উইলিয়াম তৈরির পর সেই সময়ের ব্রিটিশ সরকার রাইটার্স বিল্ডিংয়ের পশ্চিমে থাকা এই কেল্লাকে ছেড়ে যায়। এই কেল্লারই পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তাটিই সেই সময় ফেয়ারলি প্লেস নামে পরিচিত হয়ে যায়।
কোথা থেকে নামকরণ?
শোনা যায়, গিলমোন অ্যান্ড কোম্পানির স্বনামধন্য ব্যবসায়ী উইলিয়াম ফেয়ারলি নামেই এই ফেয়ারলি প্লেসের নামকরণ হয়। এই সংস্থা আবার লর্ড ওয়েলেসলির আমলে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সেনা বিভাগের হাতি এবং উটের খাবার পাঠাত। ইতিহাস কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ইস্টার্ন রেলওয়ের হেড কোয়ার্টার হওয়ার আগে কলকাতার জাতীয় জাদুঘর (ন্যাশনাল মিউজিয়াম) কিছুদিনের জন্য এখানেই ছিল। পরবর্তীতে রেলের হাতে যাওয়ার পর এখানে একটি বুকিং অফিস খোলা হয়। তা আবার ফেয়ারলি বুকিং অফিস নামে পরিচিতি পায়।
যদিও তখনও মূল ভবনটি ধারেভারে বর্তমানে মতো এত বড় ছিল না। বুকিং অফিস খোলার কিছু বছরের মধ্যে ইন্ডিয়ার রেলওয়ে এই ভবন লাগোয়া অঞ্চলেএক বিশাল অঞ্চল অধিগ্রহণ করে। সেখানেই তৈরি করা হয় বিশাল আরও একটি ভবন। যার মূল গেট আবার রাইটার্স বিল্ডিংয়ের দিকে। তারপর থেকেই ওই ভবন পূর্ব রেলের সদর দফতর হিসাবে পাকাপাকিভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে এখন কিন্তু ফেয়ারলি প্লেস বলতে এই ভবনের পাশে থাকা রাস্তা নয়, মানুষ কিন্তু ভবনটিকেই চেনেন।