কলকাতা: ওপার থেকে আক্রমণ হচ্ছে লাগাতার। ভারত বিদ্বেষের বিষবাষ্পে পুড়ছে বাংলাদেশ। এপার থেকেও যাচ্ছে প্রতিরোধের বার্তা। কখনও কলকাতা-সহ ভারত দখলের ডাক, কখনও ছেড়ে কথা না বলার হুঁশিয়ারি! সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া, সরগরম রাজনীতির আঙিনা। ওদিকে সুর চড়াচ্ছেন বিএনপি নেতা থেকে কট্টরপন্থীরা। এপারে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি-সহ একাধিক দলের নেতারা। আর এরইমধ্যে দেশপ্রেমিক হওয়ার বার্তা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। তাঁর দাবি, “কিছু রাজনৈতিক দল যেমন কত বড় হিন্দু প্রেমিক তা প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছে তেমনই এখন আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ কেউ কত বড় দেশপ্রেমিক তা প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছে।”
সোজা কথায়, বাংলাদেশ নিয়ে তো ক্ষোভ রয়েছে, কিন্তু এপারে তার বিনিময়ে যা চলছে তাতে মোটেও খুশি নন নওশাদ। খানিক ক্ষোভের সুরেই বলছেন, “আমাদের দেশে তাহলে একটা সার্কুলার দেওয়া হোক না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে বলা হোক বাংলাদেশের লোক এখানে চিকিৎসা পাবে না। বাংলাদেশের লোককে আমরা চিকিৎসা দেব না, বাংলাদেশের বই এখানে বিক্রি হবে না। সেগুলো কিন্তু দিচ্ছে না। কারণ ওরা ভাল করে জানে এগুলো করলে দুটো দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে যাবে। নিরাপত্তার দিকে বেশি ক্ষতি হবে ভারতের।”
তবে শুধুই ক্ষোভ প্রকাশ নয়, ‘ভুল’ শোধরাতে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশকে গালাগালি না করে নিজের দায়িত্বটা পালন করুন। এই ধরনের মন্তব্যে দু’টো দেশের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। পাকিস্তান-চিন তো ওত পেতে বসে আছে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য। আর বাংলাদেশে ওরা ঢুকলে ভারতের ক্ষতি হবে। এটা ভাবা দরকার।”