Dumdum Jessop: ডিগলা রোডের ওপর বাড়ি জেসপের জমির ওপরেই তৈরি, জমি দখলের অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট BLRO দফতরের

Dumdum Jessop: কিন্তু এদিন বিএলআরও দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্যের পরও নিজের অবস্থানে অনড় দমদমের পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহ। তিনি বলেন, "দমদম ক্যান্টনমেন্ট‌ই তো এক নম্বর খতিয়ানের অন্তর্গত। আর ডিগলা রোডে ওই বাড়ি ৩০ বছর ধরে রয়েছে।"  ভূমি ও ভূমি সংস্কারের দফতরের আধিকারিক ঠিক বলছেন না বলে দাবি করেন তিনি।

Dumdum Jessop: ডিগলা রোডের ওপর বাড়ি জেসপের জমির ওপরেই তৈরি, জমি দখলের অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট BLRO দফতরের
জেসপের জমি দখলের অভিযোগImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2024 | 5:20 PM

কলকাতা: জেসপের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। জমি দখল করেই হয়ে যাচ্ছে বসত বাড়ি। পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে এলাকা।  বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে জেসপ ওয়ার্কাস ইউনিয়ন।  TV9 বাংলায়  খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।  বুধবারই পরিদর্শনে আসেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা। ক্যামেরায় বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেন তাঁরা। সরকারি আধিকারিকদের বক্তব্য, তিন নম্বর গেট লাগোয়া জমি ১ নম্বর খতিয়ানের অন্তর্গত সরকারি জমি। ডিগলা রোডের বাড়ি জেসপের জমির উপরেই তৈরি বলেও দাবি করেন আধিকারিকরা। বিএলআরও দফতরের আধিকারিক বলেন, “এসডিও অফিস থেকে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এসডিও অফিসেই পাঠানো হবে। ডিগলা রোডের জমি জেসপের জমি বলেই রেকর্ডে দেখছি। যাঁরা দাবি করছেন, তাঁরা তাঁদের নথি দেবেন। আমরা আমাদের রিপোর্ট জমা দেবো। ”

প্রশাসনিক আধিকারিকের বক্তব্যে অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূলের পুর প্রধানের। কারণ অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর জমি দখলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন দমদমের পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহ। তাঁর দাবি ছিল জেসপ মিথ্যা কথা বলছে। তিনি দাবি করেছিলেন, “দমদম গার্লস স্কুলের উল্টোদিকের জায়গা কোনওদিনই জেসপের ছিল না। ওখানে জেসপের অল্প একটু জায়গা রয়েছে। বহু বছর ধরে রেকর্ড রয়েছে, প্রাইভেট কারোর নামে। জেসপের নিরাপত্তারক্ষীরা থাকত।”

কিন্তু এদিন বিএলআরও দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্যের পরও নিজের অবস্থানে অনড় দমদমের পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহ। তিনি বলেন, “দমদম ক্যান্টনমেন্ট‌ই তো এক নম্বর খতিয়ানের অন্তর্গত। আর ডিগলা রোডে ওই বাড়ি ৩০ বছর ধরে রয়েছে।”  ভূমি ও ভূমি সংস্কারের দফতরের আধিকারিক ঠিক বলছেন না বলে দাবি করেন তিনি।

উল্টে পুরপ্রধান জেসপ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য,  যিনি অভিযোগ করছেন, তিনি ১০ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে গাড়ি চড়েন কী করে?  তিনি বলেন, “ওঁরা তো সিআইডি তদন্ত চাইছেন। আমি বলছি, সিআইডি, সিবিআই তদন্ত হোক। সব ধরনের তদন্ত হোক। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে জানতে চাইলে আমরা‌ও জানাব।”