Fake Call Centre: মৃদু ভাষী সুদর্শন কর্মীরা থাকেন ব্যাক অফিসে, ‘ফ্রন্ট ডেস্কে’ স্মার্ট তরুণী…বিদেশের সঙ্গে চলতে সেই ব্যবসা
Fake Call Centre: পরপর কয়েকদিন ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলছে শহরের বুকে। এর আগে বাগুইআটিতে ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। গ্রেফতার হয়েছেন একাধিকজন।
কলকাতা: শহরের বুকে আবারও ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ। বেনিয়াপুকুর এলাকায় ভুমোবায়ো কল সেন্টারের খোঁজ মিলেছে। আমেরিকা আর কানাডায় ফোন করে টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে চলত কল সেন্টার। ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। ১৫ টি মোবাইল, ল্যাপটপ, রাউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পরপর কয়েকদিন ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলছে শহরের বুকে। এর আগে বাগুইআটিতে ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। গ্রেফতার হয়েছেন একাধিকজন। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
কীভাবে চলত প্রতারণা?
মাইক্রোসফট সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের ডাটা লিস্ট তৈরি করে, সেই লিস্ট ধরে ‘ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল’ (Voice Over IP) ব্যবহার করে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করত অভিযুক্তরা। বিভিন্ন গিফট কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল ভাবে টাকা লেনদেন হত। পরবর্তী সময়ে সেই বিদেশি মুদ্রা ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেত।
প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। মূলত শহরের বুকে ঝা চকচকে অফিস বানিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। অফিসে সাজানো থাকছে একাধিক কম্পিউটার, উচ্চমানের গ্যাজেটস। অফিসের ফ্রন্ট ডেস্কে থাকছেন উচ্চ শিক্ষিত মৃদু ভাষী যুবক-যুবতীরা। দেখে বোঝবার উপায় নেই। গত কয়েক মাসে এরকম একাধিক ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ মিলেছে। তবে ব্য়াঙের ছাতার মতো এই ধরনের কলসেন্টারের শহরের আনাচে কানাচে বসে এখনও প্রতারণা চালাচ্ছে, পুলিশের কাছে সে খবরও রয়েছে। তাই আগামী দিনেই তল্লাশি চলবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।