AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলে আঘাতের চিহ্ন কেন? এবার হাইকোর্টে খেজুরিতে মৃত ২ জনের পরিবার

Calcutta High Court: গত শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার ভাঙনমারি এলাকায় মেলা দেখতে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর তেইশের সুজিৎ দাস ও বছর পঁয়ষট্টির সুধীর পাইকের। এই ২ জনকে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। খুনের অভিযোগ করে মৃতদের পরিবারও। তবে ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Calcutta High Court: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলে আঘাতের চিহ্ন কেন? এবার হাইকোর্টে খেজুরিতে মৃত ২ জনের পরিবার
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit: Getty Image (History/Universal Images)
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2025 | 6:13 PM
Share

কলকাতা: খেজুরিতে মেলা দেখতে গিয়ে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এবার আদালতের দ্বারস্থ মৃতদের পরিবার। নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্তের আবেদন জানাল তারা। একইসঙ্গে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন জানানো হয়। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই আবেদন জানায় মৃত সুজিৎ দাস ও সুধীর পাইকের পরিবার। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ। আগামিকাল (১৬ জুলাই) মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার ভাঙনমারি এলাকায় মেলা দেখতে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর তেইশের সুজিৎ দাস ও বছর পঁয়ষট্টির সুধীর পাইকের। এই ২ জনকে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। খুনের অভিযোগ করে মৃতদের পরিবারও। কিন্তু, পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানায়, মেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ওই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর গতকাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর কাঁথি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভেন্দ্র কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ওই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে।

যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ২ জনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গতকাল খেজুরি বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। খেজুরিতে একটি মিছিলেও হাঁটেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, “এক ডাক্তার ফোন করে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে লিখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, যখন অকুস্থলে দেহ পড়েছিল কেন বাড়ির লোককে না জানিয়ে পুলিশ দেহ তুলে নিয়ে গেল?”

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যে তাঁরা সন্তুষ্ট নন, তা বুঝিয়ে দিলেন সুজিৎ ও সুধীরের পরিজনরা। এদিন হাইকোর্টে আবেদনে তাঁরা জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হলেও মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। আদালত কী নির্দেশ দেয়, সেটাই এখন দেখার।