AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

R G Kar: ‘আদা জল খেয়ে পড়েছিলে, আজ তুমি খুব শান্তি পাবে’, ইস্তফা দিয়েই TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে ‘কৃতজ্ঞতা স্বীকার’ অধ্যক্ষ সন্দীপের

R G Kar: অধ্যক্ষের পদত্যাগ-সহ একগুচ্ছ দাবিতে কর্মবিরতিরও ডাক দেন বিক্ষোভকারীরা। সেই কর্মবিরতিতে আজও চলছে। সুপারকে রবিবারই সরানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, সুপার অপসারিত হলেও, অধ্যক্ষ কেন বহাল তবিয়তে? এই পরিস্থিতি ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়েন অধ্যক্ষ। সোমবার ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

R G Kar: 'আদা জল খেয়ে পড়েছিলে, আজ তুমি খুব শান্তি পাবে', ইস্তফা দিয়েই TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে 'কৃতজ্ঞতা স্বীকার' অধ্যক্ষ সন্দীপের
সন্দীপ ঘোষের কীর্তিনামাImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Aug 12, 2024 | 4:37 PM
Share

কলকাতা: আর জি করের ‘প্রাক্তন’ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এবার, তিলোত্তমার ঘটনার পর, যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, ভয়াবহতা-নৃশংসতার আঁচ যখন রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি উঠেছে চরমে। আর ক্রমেই সেই দাবি জোরাল হয়েছে। হাসপাতালের ঘরে-বাইরের চাপে শেষমেশ ইস্তফা দিলেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রেস মিট করে স্বাস্থ্যভবনে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য তিনি যখন রওনা দিচ্ছিলেন, তখন TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্তের ওপরেই ক্ষোভ উগরে দিলেন।

TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে সরাসরি সন্দীপ ঘোষ বললেন, “তুমিই তো চেয়েছিলে  আমার রেজিগনেশন, সবার আগে, অনেকদিন আগে, আজকে তুমি অনেক শান্তি পাবে। একমাত্র তুমি হচ্ছো, সেই মিডিয়া রিপোর্টার, যে বাই হার্ট চেয়েছিল, আখতার আলিকে দিয়ে পর্যন্ত আমার নামে যাচ্ছেতাই কথাবার্তা বলিয়েছিলে, তুমি হচ্ছো, সেই মিডিয়া রিপোর্টার সৌরভ দত্ত, যে আদা জল খেয়ে পড়েছিলে, আশা করি, আজকে তুমি খুব সুখী হবে, শান্তি পাবে… ”

টেন্ডার দুর্নীতি, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ, হাসপাতালের বর্জ্য পাচার-সহ গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। বারবার হাসপাতালে বিক্ষোভ হয়েছে। সুর চড়িয়েছেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতারাও। সেই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একেবারে গোঁড়ায় গিয়ে তলিয়ে যাচাই করেছেন TV9 বাংলার সাংবাদিক সৌরভ দত্ত। সে সময়ে TV9 বাংলায় মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন সুপার আখতার আলি। খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল TV9 বাংলায়।

কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আরজি করে যে ঘটনা ঘটে, তা একেবার সমস্ত অভিযোগকে ছাপিয়ে যায়। তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গে নৃশংস, বীভৎস, নক্কারজনক, সব বিশেষণই যেন কম পড়ে। গোটা বাংলা ক্ষোভে গর্জে ওঠে। আরজিকরের চিকিৎসক, চিকিৎসক পড়ুয়া, প্রাক্তনী, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই প্রথম থেকে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তাঁরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি তোলেন।  অধ্যক্ষের পদত্যাগ-সহ একগুচ্ছ দাবিতে কর্মবিরতিরও ডাক দেন বিক্ষোভকারীরা। সেই কর্মবিরতিতে আজও চলছে। সুপারকে রবিবারই সরানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, সুপার অপসারিত হলেও, অধ্যক্ষ কেন বহাল তবিয়তে? এই পরিস্থিতি ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়েন অধ্যক্ষ। সোমবার ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

তাঁর বক্তব্য, “আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, আমি বাবা হিসাবে পদত্যাগ করলাম।” তাঁর কথায়, তাঁকে কেউ চাপ দেননি। কিন্তু ঘটনার চার দিন পর হঠাৎই নৈতিকতার দিক থেকে আবেগতাড়িত হয়ে তিনি ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু TV9 বাংলা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের খবর আবেগের বশে করেনি, সে কথা এদিনও তাঁর সামনে দাঁড়িয়েই স্পষ্ট করেছেন প্রতিনিধি সৌরভ দত্ত। শেষে তাঁর কোনও কথার উত্তর না দিয়েই বুম সরিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন সন্দীপ ঘোষ।

তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সন্দীপ ঘোষের ইস্তফা প্রসঙ্গে তিলোত্তমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ অধ্যক্ষ নিজেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। উনি বলছিলেন যে আমার বাড়িতেও বাচ্চারা আছে। আমায় গালিগালাজ করছে। আমরা ওনাকে বুঝিয়ে বলেছি ঠিক আছে কাজ করতে হবে না। আমরা ওনাকে সরিয়েছি অন্য জায়গায়।”

 

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)