Kalyan Banerjee: ওনার মেয়ে রেপড হয়ে মারা গিয়েছেন, কিন্তু … সরি টু সে, ওনারা রাজনীতি করছেন: কল্যাণ
Kalyan Banerjee: "আজকে উনি ফাঁসি চাইলেন না! তাহলে উনি কী চাইছেন? অন্য মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি রেপ করে খুন করে, তাহলে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না, এটাই উনি চাইছেন? যেহেতু ওনার মেয়ে রেপড হয়ে মারা গিয়েছেন বলে, অন্য মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি এরকম ঘটনা ঘটে, তাহলে দোষীর ফাঁসি সাজা হবে না বলা হচ্ছে।"
কলকাতা: কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিমের পর এবার আবারও এক শাসকনেতার নিশানায় তিলোত্তমার বাবা-মা। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তিলোত্তমার পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতি করছেন তাঁরা।
কল্যাণ বলেন, “আজকে উনি ফাঁসি চাইলেন না! তাহলে উনি কী চাইছেন? অন্য মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি রেপ করে খুন করে, তাহলে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না, এটাই উনি চাইছেন? যেহেতু ওনার মেয়ে রেপড হয়ে মারা গিয়েছেন বলে, অন্য মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি এরকম ঘটনা ঘটে, তাহলে দোষীর ফাঁসি সাজা হবে না বলা হচ্ছে। আসলে ওনারা এখন রাজনীতি করছেন। খুব ভাল রাজনীতি করছেন। আই অ্যাম সরি টু সে। কিন্তু নাও দে আর ইন পলিটিক্স। কমপ্লিটলি পলিটিক্স। বিকাশ ভট্টাচার্যের কথা আর ওনাদের কথা এক হয়ে গেল।”
উল্লেখ্য, সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে রাজ্য। দুদিন ধরে এই মামলার কেবল গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই শুনানি চলছিল হাইকোর্টে। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি তিলোত্তমার বাবা-মায়ের কাছে তাঁদের মত জানতে চান। তাঁরা জানান, আপাতত তাঁরা সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চাইছেন না। আর সে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়েই একথা বলেন কল্যাণ।
দুদিন আগেই তিলোত্তমার বাবা-মাকে বিঁধেছেন ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষ। ফিরহাদ বলেন, “এখন এমন হয়ে গিয়েছে, উনি এখন যাদের পাল্লায় পড়েছেন, এবার ওনারা পলিটিক্স করছেন, তাকে নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী লেফটিস্টদের দয়ায় বা কারোর দয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে নেই। বাংলার মানুষের সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে রয়েছেন। আমি আবার বলব, আপনি আপনার এক্তিয়ারের মধ্যে থাকুন, নিশ্চিতভাবে ন্যায় চান। আমরাও অত্যন্ত দুঃখিত সিবিআই যেভাবে তদন্ত করেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনাকে দিয়ে যা বলাবে, তাই বলবেন…মানুষের যে সহানুভূতি আপনার ওপরে, সেটা নষ্ট হয়ে যাবে।”
অন্যদিকে, কুণাল বলেছিলেন, “কিছু অতৃপ্ত আত্মা এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী, মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী রাজনীতি করছে, তাদের পাল্লায় পড়বেন না। প্ররোচনায় পা দেবেন না। সেক্ষেত্রে এই গোটা ব্যাপারটাও তদন্তে আসা উচিত। ওনারা কার কার সঙ্গে কথা বলছেন, কারা কী শেখাচ্ছে, কোন কারণে বলছেন, কীসের ভিত্তিতে বলছেন, এটা গোটা বিষয়টাই তদন্তে আসা উচিত। জুনিয়র ডাক্তারদের ফান্ড কে কে পাচ্ছে? ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে টাকা দিতে হল কেন?” যদিও ফিরহাদ কুণালের বক্তব্য নিয়ে আগেই তিলোত্তমার বাবা নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।