মধ্যরাতের তল্লাশিতে ভুয়ো সিবিআই অফিসারের নীল বাতি গাড়ি বাজেয়াপ্ত
Howrah Fake CBI Officer: গাড়ির মালিক রমেশ কায়স্থ নিজেই চালক ছিলেন। পুলিশকে রমেশ জানিয়েছেন, সিবিআই অফিসার হিসেবে শুভদীপ তাঁকে অথরাইজড লেটার দেখিয়েছিলেন।
কলকাতা: ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীল বাতি লাগানো গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল জগাছা থানার পুলিশ (Howrah Fake CBI Officer)।
মঙ্গলবারই তাঁকে রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লি থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়ায় আনা হয়। তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে আট দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুভদীপকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত জগাছায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।
কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকায় শুভদীপকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। ২৭৫ নম্বর রবীন্দ্র সরণি থেকে তাঁর ভাড়ায় ব্যাবহৃত গাড়িটি বাজায়প্ত করেছে পুলিশ। Wb 04 G 6310 কমার্শিয়াল গাড়িটিতে নীল বাতি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতেন শুভদীপ। সঙ্গে গাড়িটিতে সিবিআই অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার বোর্ডও লাগানো থাকতো।
গাড়ির মালিক রমেশ কায়স্থ নিজেই চালক ছিলেন। পুলিশকে রমেশ জানিয়েছেন, সিবিআই অফিসার হিসেবে শুভদীপ তাঁকে অথরাইজড লেটার দেখিয়েছিলেন। তাই বিশ্বাস করে তাঁর কাছে গাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। এদিন গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে পুলিশ। পরে গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে জগাছা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ করেন স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়নাদেবীর অভিযোগ, সিবিআই অফিসার (Fake CBI Officer) বলে পরিচয় দিয়ে দেড় বছর আগে বিয়ে করেছিলেন শুভদীপ। ধীরে ধীরে তাঁর জালিয়াতির তথ্য প্রমাণ-সহ উঠে আসে নয়নার হাতে। সেই মোতাবেক পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নয়না।
স্ত্রী নয়নাদেবীর অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে সিবিআই অফিসার (Fake CBI Officer) বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে বিয়ে করেন শুভদীপ। তখনও জানতেন না শুভদীপের আসল পরিচয়। কিন্তু, কিছু সময় পর শুভদীপকে কাজে যেতে আর দেখেননি নয়না। সন্দেহের শুরু তখন থেকেই। এরপরেই, শুভদীপের কাগজপত্র ঘাঁটতে শুরু করলেন নয়না। গোপনে গিয়ে বিভিন্ন সরকারি মহলে আধিকারিকদের থেকেও খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। আরও পড়ুন: খাটের ওপর বৃদ্ধের পচাগলা দেহ, আগলে বসে স্ত্রী, মেয়ে! বাগবাজারে এবার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া
ধীরে ধীরে জানতে পারেন, শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় নামে কোনও অফিসারই নাকি নেই। প্রায় চারমাস ধরে নানা জায়গা থেকে শুভদীপের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেন নয়না। খোঁজ নিয়ে জানেন চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন শুভদীপ।