RG Kar case: ‘আমি তো গরিব’, হঠাৎ কেন আদালতে বলে উঠলেন সঞ্জয়?
RG Kar case: আদালতে সঞ্জয় রাইয়ের বক্তব্য নিয়ে এদিন তিলোত্তমার মা-ও বলেন, "উনি এতদিন পর কেন এসব বলছেন বুঝতে পারছি না। উনি কী বলতে চাইছেন, তা যদি স্পষ্ট করে বলতেন, তাহলে তাঁর দিকেও সুবিধা হত। তদন্তকারীদেরও সুবিধা হত।" তিলোত্তমার মা এদিন ফের বলেন, "এই নৃশংস ঘটনা একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আগেও বলেছি। আবার বলছি।"
কলকাতা: ভরা আদালত কক্ষ। কোনওরকমে আদালতে ঢোকানো হল অভিযুক্তকে। বিচারক তাঁর উদ্দেশে বললেন, “আপনি যেভাবে মেরেছেন, তাতে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।” তখনই নিজের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেল আরজি কর কাণ্ডে দোষীসাব্যস্ত সঞ্জয় রাইকে। তিনি গরিব মানুষ বলে সওয়াল করলেন। শনিবার এমন চিত্রই দেখা গেল শিয়ালদহ আদালতে।
গতবছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ‘তিলোত্তমা’-র দেহ উদ্ধার হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করে সঞ্জয় রাইকে। ১৬২ দিন পর এদিন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে দোষীসাব্যস্ত করেন।
এদিন আদালত কক্ষে এতটাই ভিড় ছিল যে সঞ্জয়কেও ভিতরে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। সিভিক ভলান্টিয়ারকে দোষীসাব্যস্ত করার সময় বিচারক তাঁকে বলেন, “আপনি যেভাবে মেরেছেন, তার জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।” তখনই সঞ্জয় বলেন, “আমায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের গলায় মালা ছিল। সেটা ধস্তাধস্তিতে ছিঁড়তে পারে। সেটা পাওয়া গেল না কেন?” বিচারক সঞ্জয়কে বলেন, “আমার যা মনে হয়েছে, তাতে দোষী আপনি। সোমবার তাও শুনব।” তখন সঞ্জয় বলেন, “আমি তো গরিব। আমি এ কাজ করিনি। যারা করেছে তাদের ধরুন। মিডিয়াও বলেছে। পুলিশের দিকে তাকিয়ে আপনারাও বলেছেন। তাহলে কেন ধরছেন আমায়?”
এই খবরটিও পড়ুন
এর আগে আদালতে সঞ্জয়কে সেভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, দোষীসাব্যস্ত ঘোষণার সময় হঠাৎ নিজেকে গরিব বলে উল্লেখ করলেন কেন সঞ্জয়? এর আগে বিচার প্রক্রিয়া চলার সময় এভাবে নিজের পক্ষে সওয়াল করেননি কেন? নিজেকে গরিব বলে উল্লেখ করে কি সহানুভূতি আদায় করতে চাইছেন? এদিন তাঁর বক্তব্যের পর এইসব প্রশ্ন উঠছে। এমনকি, এদিন তিলোত্তমার মা-ও বলেন, “উনি এতদিন পর কেন এসব বলছেন বুঝতে পারছি না। উনি কী বলতে চাইছেন, তা যদি স্পষ্ট করে বলতেন, তাহলে তাঁর দিকেও সুবিধা হত। তদন্তকারীদেরও সুবিধা হত।” তিলোত্তমার মা এদিন ফের বলেন, “এই নৃশংস ঘটনা একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আগেও বলেছি। আবার বলছি।”