Siddiqullah Chowdhury: ‘সিপিএমের বদ রক্ত তৃণমূলে, ডায়ালিসিস দরকার’, ইউটার্ন নিয়েই নয়া দাবি সিদ্দিকুল্লার
Siddiqullah Chowdhury: আহমেদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, "আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি আমলাদের মারধর করে। দলের নামে আহমেদ কলঙ্ক। সিপিএমের কিছু বদরক্ত রয়েছে। ওরা দলে জায়গা পেয়েছে। ওদের ডায়ালিসিস দরকার। আহমেদ তো এখন পালিয়েছে।"

কলকাতা: তাঁর উপর হামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তৃণমূল ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইউটার্ন নিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। শুক্রবার রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পরই সিদ্দিকুল্লা বললেন, তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন না। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলেও জানালেন। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সিপিএমের কিছু বদ রক্ত তৃণমূলে রয়েছে। তাঁদের বের করতে হবে। সিদ্দিকুল্লার অবস্থান বদল নিয়ে কটাক্ষ করল বিজেপি।
বৃহস্পতিবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র মন্তেশ্বরেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিদ্দিকুল্লা। কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁর উপর আক্রমণ হয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রীর। গাড়ির কাচও ভাঙা হয়েছে বলে তিনি জানান। মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেনের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
এদিন সকালে সিদ্দিকুল্লাকে ফোন করেন ফিরহাদ। তাঁর ফোন পাওয়ার পর সিদ্দিকুল্লা বলেন, “আজ সকালে ফিরহাদ হাকিম ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ এবং দুঃখিত। এটাকে কোনওভাবেই মানা যায় না।”
আহমেদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি আমলাদের মারধর করে। দলের নামে আহমেদ কলঙ্ক। সিপিএমের কিছু বদরক্ত রয়েছে। ওরা দলে জায়গা পেয়েছে। ওদের ডায়ালিসিস দরকার। আহমেদ তো এখন পালিয়েছে।” আহমেদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দল তাঁকে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “দল অনুসন্ধান করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি কী উন্নয়ন করেছি, তা সবাই জানে।” সিদ্দিকুল্লার উপর হামলা নিয়ে ফিরহাদ বলছেন, “ঘটনাটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিরক্ত। দল এই নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। দলে থেকে গুন্ডামি করা যাবে না। তৃণমূল এটা মেনে নেয় না।”
সিদ্দিকুল্লার ইউটার্ন নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “উনি একজন লোভী মানুষ। এইভাবে আক্রান্ত হওয়ার পরও মন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে মরিয়া।” এদিকে, মন্ত্রীর গাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।

