BJP : আড়াই দিন গ্রামে নেতারা, দিদির দূতের পাল্টা কর্মসূচি বিজেপির?

BJP : মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যে গ্রামে গ্রামে রাত্রিবাস শুরু করেছেন দিদির দূতরা। আম-আদমির ঘরে যেতে পড়ছেন বিক্ষোভের মুখেও। এবার পাল্টা কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি।

BJP : আড়াই দিন গ্রামে নেতারা, দিদির দূতের পাল্টা কর্মসূচি বিজেপির?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2023 | 9:41 PM

কলকাতা : বাংলা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) মন্ত্রিসভায় ঠাঁই চার প্রতিমন্ত্রীর। তিনজনই সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে নির্বাচিত। এমনকি রাজ্য বিজেপির (BJP) প্রথম সারির মুখ না হওয়া সত্বেও রাজ্য দফতরে হওয়া শাহী বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন মালদা (Malda) উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু। যিনি নিজেও সীমান্ত লাগোয়া লোকসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে বিএসএফ (BSF) চৌকি তৈরির জন্য যে জমি জট রয়েছে তা মেটাতে রাজ্যকে বিশেষভাবে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তখনই ইঙ্গিত মিলেছিল যে বিজেপি বাংলার সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর দিতে চলেছে। এবার দলের তরফে সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলির জন্য পৃথক কর্মসূচি নেওয়ায় বিষয়টি পরিষ্কার হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যে গ্রামে গ্রামে রাত্রিবাস শুরু করেছেন দিদির দূতরা। আম-আদমির ঘরে যেতে পড়ছেন বিক্ষোভের মুখেও। তৃণমূলের এই কর্মসূচির এবার পাল্টা কর্মসূচি নিল গেরুয়া শিবির। সংগঠন সূত্রের খবর, যুব মোর্চার নেতারা সীমান্তবর্তী ১৫ টি সাংগঠনিক জেলায় আড়াই দিন ধরে ঘুরবেন। নির্বাচিত চারটি গ্রামে প্রতিদিন রাত্রিবাস করবেন। সেই সঙ্গে থাকবে কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচীও। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কর্মসূচি নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। 

কর্মসূচি প্রসঙ্গে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, “শুধু রাত্রিবাস নয়, বাইক মিছিল, প্রচারপত্র বিলির মত কর্মসূচিও থাকছে। তাঁর দাবি, সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের মানুষের মূল সমস্যা নিরাপত্তা। রাজ্য সীমান্ত সুরক্ষার প্রশ্নে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে না। রাজ্য পুলিশ, বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে না। তাদের কাজে বাধা দেয়। ফলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের সেই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। আমরা সেই কথা শুনব। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে মানুষকে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। কোথাও মানুষের চাহিদা সিএএ, কোথাও মানুষ এনআরসি চাইছেন। আমরা মানুষের সমস্ত চাহিদার কথা শুনব, সমস্যার বিষয়ে নোট নেব। তারপর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠাব।”