কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে কি বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কেউ? এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রাজনৈতিক স্বার্থে ‘তিলোত্তমা’-র বাবা-মাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলেও তাঁর অভিযোগ। তবে কারও নাম নিলেন না তিনি।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ‘তিলোত্তমা’-র দেহ উদ্ধার হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তাঁদের বক্তব্য, একা সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। আরও তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা।
তিলোত্তমার বাবা-মার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এদিন কুণাল বলেন, “আরজি করের ঘটনা ভয়ঙ্কর। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমরা সবাই তার কড়া নিন্দা করেছি। আমরা সবাই চাই দোষীর ফাঁসি হোক। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমদিন থেকে বলছেন, মৃত্যুদণ্ড হোক। কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একজনকে ধরে। মৃতার বাবা-মার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও সমবেদনা রেখেও বলছি, তাঁরা কিছু লোকের কথায় ধারাবাহিকভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধরল। তাঁরা বললেন, আমরা সিবিআই চাই। সেইমতো সিবিআই তদন্ত হয়েছে। এবার সিবিআই তদন্ত করে কলকাতা পুলিশ যাকে ধরেছে, সেই ধরাটাকে ন্যায্য বলেছে। এবার তাঁরা তা মানতে পারছেন না। যাঁরা বলছেন, বিচার চাই, বিচার চাই। বিচার তো আদালতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট আবার নজরদারি চালিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে তো তাঁদেরও আইনজীবী ছিলেন। শুনানির সময় তো পূর্ণ সুযোগ ছিল, সুপ্রিম কোর্টে সবটা বলার।”
এরপরই তাঁর বক্তব্য, “কিছু রাজনৈতিক অতৃপ্ত আত্মা, অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা থেকে তিলোত্তমার বাবা-মার আবেগ, যন্ত্রণাকে বিপথে চালিত করতে এই গোলমাল পাকাতে নেমেছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সাজা ঘোষণার মুখে বলছে, নতুন করে তদন্ত চাই। তাহলে কি কেউ বা কারা ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন? ধর্ষণ ও খুনে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধরেছে কলকাতা পুলিশ। তাকে মান্যতা দিয়েছে সিবিআই। সমস্ত তথ্য প্রমাণ এক জায়গায় করে সুপ্রিম কোর্ট দেখেছে। ট্রায়াল কোর্ট দেখেছে। এখন সাজা ঘোষণার মুখে মৃতার বাবা মাকে সামনে রেখে, তাঁদের আবেগকে বিভ্রান্তিকর পথে চালিত করে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁচানোর খেলা চলছে।”