AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Naushad Siddiqui: ISF নয়, নওশাদ আসলে কোন দলের বিধায়ক জানেন?

Naushad Siddiqui: বিধানসভার অধ্যক্ষ শুক্রবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "আমাদের বিধানসভায় আইএসএফ বলে কোনও পরিষদীয় দল বা পার্টির অস্তিত্ব নেই। উনি মজলিস পার্টির নামে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচন কমিশন থেকেও ওই দলের নামেই শংসাপত্র এসেছে।"

Naushad Siddiqui: ISF নয়, নওশাদ আসলে কোন দলের বিধায়ক জানেন?
বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2023 | 11:21 PM
Share

কলকাতা: লোকসভা ভোটের মুখে বঙ্গ রাজনীতিতে ক্রমেই আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সম্প্রতি তাঁর ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশের পর থেকে নওশাদ খুব বেশি করে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। আর এসবের মধ্যেই আরও একবার উঠে এল নওশাদের ‘পার্টি আইডেনটিটি’র সওয়াল। শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার সে কথা তুলে আনেন। নওশাদ ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ (ISF) নেতা হিসাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিত। তবে একুশের বিধানসভা ভোটে নওশাদ যখন প্রার্থী হয়েছিলেন, তখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন ‘রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টি’ বা আরএসএমপি-এর (RSMP)। এই দলের প্রতীক ‘খাম’।

‘রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টি’র হয়ে ভোটে লড়েন নওশাদ সিদ্দিকী। ‘খাম’ চিহ্নেই ভোট পেয়ে জিতে বিধায়ক হন। বিধায়কের যে শংসাপত্র, সেখানেও আইএসএফ নয়, উল্লেখ আছে ‘রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টি’রই। বিধানসভার অধ্যক্ষ শুক্রবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমাদের বিধানসভায় আইএসএফ বলে কোনও পরিষদীয় দল বা পার্টির অস্তিত্ব নেই। উনি মজলিস পার্টির নামে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচন কমিশন থেকেও ওই দলের নামেই শংসাপত্র এসেছে। নিজেকে আইএসএফের নেতা বললে সেটা বাইরে বলতে পারেন। তবে বিধানসভায় আইএসএফ বলে কোনও পার্টির অস্তিত্ব নেই।”

আইএসএফের জন্ম একুশের ভোটের আগে। বিধানসভা ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী নতুন দলের নাম ঘোষণা করেন। তবে তিন বছর হতে চলল এখনও কেন নির্বাচন কমিশনে আইএসএফের স্বীকৃতি নেই বা নির্দিষ্ট প্রতীক নেই তা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন। যদিও এ ব্যাপারে নওশাদ অবশ্য বলছেন, “আমি যে রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টির তরফে ভোটে জিতেছি, সেই তথ্য গোপন করিনি। বিধানসভাকে জানিয়েছি। তবে যাঁরা দল বদল করেছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে এই দলবদলের অভিযোগ জমা পড়েছে, তাঁদের বিষয়ে স্পিকার স্যর উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন জনগণ তা চাইছেন। আমিও তাই বলব।”