Calcutta High Court: হাইকোর্টের গুঁতোয় কাজ হল! শেষমেশ ঘুষকাণ্ডে মহিলা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ রাজ্যের
Calcutta High Court: আগের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে প্রশ্ন করেছিল, অভিযুক্ত মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে কেন দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় তদন্ত হবে না? শোকজ করা হলেও নথিতে কেন ঘুষের কথা উল্লেখ নেই, সেই প্রশ্নও তোলে ডিভিশন বেঞ্চ।

কলকাতা: ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ। অবশেষে তারকেশ্বর থানার মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য। ডিএসপি’র নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে তদন্ত শুরুর কথা জানালেন রাজ্যের আইনজীবী। সেই কথা শুনে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, এটা আরও আগেই করা উচিত ছিল।
তারকেশ্বর থানার মহিলার অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের মামলায় এদিন শুনানি হয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী অভিযুক্ত মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে মামলা শুরু করার কথা জানান। রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, “একজন নিজে স্বীকার করছেন, ঘুষ চেয়েছিলেন। সেখানে সেই ঘটনা উহ্য রেখে তাঁকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে শোকজ করা হয়। এটা হতে পারে?” আগামিকাল ফের এই মামলার শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, হুগলির তারকেশ্বর থানা এলাকার বিল্টু হাজরা নামে এক ব্যক্তি ওই মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেন। এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়েছিল। এই নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর অভিযোগ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে মহিলা সংক্রান্ত মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মামলা থেকে বাঁচতে মোটা টাকা দিতে হবে বলে ওই মহিলা অফিসার তাঁকে হুমকি দেন বলে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার বিল্টু হাজরার অভিযোগ। মহিলা অফিসারের সঙ্গে তাঁর ফোনের কথোপকথন রেকর্ড করে রাখেন তিনি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ওই যুবক।
এর আগের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে প্রশ্ন করেছিল, অভিযুক্ত মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে কেন দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় তদন্ত হবে না? শোকজ করা হলেও নথিতে কেন ঘুষের কথা উল্লেখ নেই, সেই প্রশ্নও তোলে ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর এদিন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে মামলা শুরু হয়েছে।
