AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IT Worker-Body: অফিস যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিলেন IT কর্মী, টাওয়ার লোকেশন ধরে গেস্ট হাউসে গিয়েই পুলিশ দেখল…

IT Worker-Body: মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। কী কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গেস্ট হাউসে আর কারও উপস্থিতি ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

IT Worker-Body: অফিস যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিলেন IT কর্মী, টাওয়ার লোকেশন ধরে গেস্ট হাউসে গিয়েই পুলিশ দেখল...
মৃতের পরিবারImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2025 | 5:01 PM
Share

নিউ টাউন: পুজো শেষ হওয়ার পর থেকেই যুবকের আর কোনও খোঁজ ছিল না। পরিবারের লোক সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও কোনও সন্ধান পাননি। মোবাইলের টাওয়ার লোকশন ধরে অবশেষে খোঁজ পেল পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। উদ্ধার হল পচা দেহ। গন্ধ বেরতে শুরু করেছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

দশমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন এক আইটি কর্মী। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দা। তাঁর খোঁজ পেতে থানায় অভিযোগও জানিয়েছিল পরিবার। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে নিউ টাউনের একটি গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার করা হল নিখোঁজ সেই যুবকের দেহ। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি পেশায় আইটি কর্মী। ৩৪ বছর বয়সী চন্দ্রনাথের পরিবার তাঁর খোঁজে নোয়াপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যুবকের খোঁজ করতে গিয়ে তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করতে শুরু করে পুলিশ। মৃতের বাবা বলেন, “ছেলে অফিস যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল, আর ফেরেনি। বৃহস্পতিবার রাতে শেষবার ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকে ফোন করে যাচ্ছি ধরছে না। বিকেলের পর ফোনটা বন্ধ হয়ে যায়।”

মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই শনিবার সন্ধ্যায় নিউ টাউনের গৌরাঙ্গ নগর এলাকার একটি গেস্ট হাউসে পৌঁছয় পুলিশ। গেস্ট হাউসের যে ঘরে ওই যুবক ছিলেন, তার বাইরে যেতেই দুর্গন্ধ আসে পুলিশকর্মীদের নাকে। সেই ঘরের দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। দরজা ভাঙতেই ঘরের ভিতর দেখা যায়, ওই যুবকের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। মৃতদেহের পাশে একাধিক ঘুমের ওষুধের শিশিও পড়ে থাকতে দেখা যায়।

মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। কী কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গেস্ট হাউসে আর কারও উপস্থিতি ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করে সত্য সামনে আনুক। স্থানীয় কাউন্সিলর এই ঘটনার জন্য প্রশাসনের উপরে আস্থা রাখছেন।