Jadavpur University: শেষবার হেঁটে গেলেন অনামিকা! ঘটনার দিনের রাতের ‘লাস্ট ১৯ মিনিট’ ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের
Jadavpur University Student Death: ঠিক কী হয়েছিল সেই ১৯ মিনিটে। এই সময়কালে কারা শেষবার জীবীত অবস্থায় দেখেছিল তাঁকে? কারাই বা প্রথম তাঁর দেহ ভাসতে দেখেছিল? আর কারাই বা তাঁর দেহ উদ্ধার করেছিল?

কলকাতা: শেষ ১৯ মিনিট ঘিরেই দানা বেঁধেছে রহস্য। বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নং গেট লাগোয়া ঝিলে ভেসে ওঠা মৃতদেহ ঘিরে শুধুই ধোঁয়াশা। প্রাথমিক নজরে এবং ময়নাতদন্তে জলে ডুবে মৃত্যুর কথা উঠে এলেও, ঘটনার নেপথ্যে কোনও ঘটনা নেই তো? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার বাসিন্দা অনামিকা মণ্ডল। যাদবপুরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে পার্কি লটে যাদবপুরের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের সম্মিলিত উদ্যোগে চলা ‘ড্রামা ক্লাবের’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন ওই ছাত্রীও। কিন্তু সেটাই ছিল তাঁর শেষ রাত। ক্ষণিকের মধ্য়ে যাদবপুর সাক্ষী থাকল আরও এক মর্মান্তিক পরিণতির।
অনুষ্ঠানের মাঝেই ঝিল লাগোয়া বাথরুমে গিয়েছিলেন অনামিকা। কিন্তু আর ফিরলেন না। ক্ষণিক পরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখা গেল ওই ঝিলের জলে। আর এই দু’টি ঘটনার মাঝে ব্য়বধান ১৯ মিনিটের। অনুষ্ঠান ছেড়ে যাওয়া, তারপর আর না ফেরা, ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ঠিক কী হয়েছিল সেই ১৯ মিনিটে। এই সময়কালে কারা শেষবার জীবীত অবস্থায় দেখেছিল তাঁকে? কারাই বা প্রথম তাঁর দেহ ভাসতে দেখেছিল? আর কারাই বা তাঁর দেহ উদ্ধার করেছিল? তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে সব প্রশ্নগুলিই।
পুলিশ সূত্রে খবর, আগামিকাল ঘটনাস্থলে যাবে ফরেন্সিকের একটি টিম। এছাড়াও, যারা প্রথম অনামিকাকে দেখেছিল, এমন সাত জনকে তলব করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ১০টা ১ মিনিটে নিহত ছাত্রীকে হেঁটে যেতে দেখেছিল বেশ কয়েকজন। তার কিছু সময় পরেই কয়েকজন ঝিলের দিকে ছুটে যায়। ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ১০টা ২০মিনিট নাগাদ উদ্ধার হয় ছাত্রীর দেহ। আর এই ১৯ মিনিটেই অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
