Jadavpur University: লাল ফিতেয় ‘বাঁধা’ যাদবপুর, কাটছে না সিসিটিভি-র জটিলতা
Jadavpur University CCTV Installation: বাংলা বিভাগের স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পডু়য়ার মৃত্যু ঘিরে চরমে ওঠে উত্তেজনা। হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় পড়ুয়ার। দেখতে আত্মহত্য়া। কিন্তু তার নেপথ্যে উঠে আসে 'ব়্যাগিং তত্ত্ব'। সেই ঘটনার পর থেকে যাদবপুরে জোড়াল হয় সিসিটিভি-র দাবি।

কলকাতা: আপত্তি নেই কর্তৃপক্ষের। পড়ুয়াদের মধ্য়ে একটা ‘টালবাহানা’ দেখা গেলেও, বিরাট যে বিরোধিতা রয়েছে, তেমনটাও নয়। তারপরেও আটকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি বসানোর কাজ। একাংশ বলছেন, প্রশাসনিক জটিলতাই ‘লাল ফিতের’ মতো বেঁধে ধরেছে বিশ্ববিদ্য়ালয়কে।
বছর কতক আগের কথা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পডু়য়ার মৃত্যু ঘিরে চরমে ওঠে উত্তেজনা। হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় পড়ুয়ার। দেখতে আত্মহত্য়া। কিন্তু তার নেপথ্যে উঠে আসে ‘ব়্যাগিং তত্ত্ব’। সেই ঘটনার পর থেকে যাদবপুরে জোড়াল হয় সিসিটিভি-র দাবি।
কিছুটা কাজ হলেও, জানা গিয়েছে, যাদবপুর মেইন ক্য়াম্পাসে ৫০টি ও সল্টলেক ক্য়াম্পাসে ২০টি সিসিটিভি বসানোর এখনও বাকি। এছাড়াও, ৩০ জন নিরাপত্তারক্ষীর অনুমোদনও এখনও আটকে। টিভি৯ বাংলাকে এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত আগেই জানিয়েছিলেন, ‘দু’টি ব্যাপারে সরকারের কাছে আমরা আগেই চিঠি দিয়েছিলাম। পাশাপাশি, সিসিটিভি সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও রাজ্যের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিগুলি আবারও পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করব, সরকার সেই নিরিখে পদক্ষেপ নেবে।’
একই সুর জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়েরও। তিনি আবার বলেছিলেন, ‘২০২৩ সালে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, সেই সময় একাধিক নিরাপত্তারক্ষীর দাবি জানান হয়েছিল। এমনকি, সিসিটিভি-র জন্য দাবি জানান হয়েছিল। সেই ভিত্তিতে একটি বেসরকারি সংস্থা কোটেশনও দেয়। কিন্তু এই আবেদনে রাজ্য এখনও অনুমোদন দেয়নি।’
তা হলে রাজ্যের দিকেই ‘গা ছাড়া’ মনোভাবের দায় ঠেলছে যাদবপুর? এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, ‘কথা এগিয়ে গিয়েছিল। চিঠি চালাচালি বন্ধ হয়েছে। কমিউনিকেশনও থেমে গিয়েছে। অর্থমন্ত্রক টাকা বরাদ্দ করেছে। তবে উপাচার্য বসলেই, আমার ধারণা সব কাজ সম্পন্ন হবে।’
