Jadavpur University Student Death: হোমিসাইড কর্তাদের সঙ্গে কথা, যাদবপুরে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে দায়ের খুনের মামলা
Jadavpur University News: অনামিকার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে কেউ ধাক্কা দিয়েই ঝিলের জলে ফেলে দিয়ে থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুরের চার নম্বর গেটের সামনের পুকুর থেকে অনামিকার দেহ উদ্ধার হয়। এই মৃত্যু নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয় মৃত্যুর কারণ।

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের রহস্যমৃত্যুতে দায়ের এবার খুনের মামলা। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করা হল যাদবপুর থানায়। সোমবার সকালে প্রথমে লালবাজারে যান অনামিকার বাবা-মা। সেখানে তদন্তকারী ও হোমিসাইড বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই তাঁরা যাদবপুর থানায় যান।
মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে যান তিনি। প্রথমে তিনি সেভাবে কিছু বলেননি। রবিবার টিভি৯ বাংলাকে তিনি বলেন, “ওকে নিশ্চয়ই কেউ কোনও প্রস্তাব দিয়েছিল। যাতে ও রাজি হয়নি বলেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। ও ইচ্ছাকৃত জলে পড়ে যায়নি। যেখান থেকে ওর দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে ওকে কেউ ডেকেছিল বলেই মনে হচ্ছে। যদি আমি ধরেওনি ও শৌচালয়ে যাওয়ার জন্যই ঝিল পাড়ে গিয়েছিল, তাও আমার বিশ্বাস হচ্ছে না ও ওই অন্ধকারে যাবে। ও একা ওখানে যেতেই পারে না।”
অনামিকার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে কেউ ধাক্কা দিয়েই ঝিলের জলে ফেলে দিয়ে থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুরের চার নম্বর গেটের সামনের পুকুর থেকে অনামিকার দেহ উদ্ধার হয়। এই মৃত্যু নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয় মৃত্যুর কারণ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অনামিকা। তবে কীভাবে তিনি পুকুরে পড়ে গেলেন, তা স্পষ্ট নয়। এদিকে, তিনি মদ্যপ ছিলেন কিনা, সেটা জানার জন্য ভিসেরা রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।
