Jogesh Chandra Chaudhuri Law College: কসবার ঘটনার জেরে, মমতার কলেজ নিল বড় সিদ্ধান্ত
Jogesh Chandra Chaudhuri Law College: কলেজগুলিতে বহিরাগতদের দাপাদাপি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। যোগেশচন্দ্র ল কলেজে সরস্বতী পুজো কোথায় হবে সেই নিয়েও বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়। সেখানেও বহিরাগত তত্ব উঠে আসে। এরপর কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো শিক্ষামহলকে।

কলকাতা: সরস্বতী পুজো নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগেশচন্দ্র ল কলেজে। সেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। এবার সেই কলেজেই নেওয়া বড় সিদ্ধান্ত। কসবার ল কলেজের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার যোগেশচন্দ্র ল কলেজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাশ করে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা পাঁচবছর ঢুকতে পারবেন না কলেজে।
যোগেশ চন্দ্র ল কলেজের পক্ষ একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাদের দাবি, এই নির্দেশিকাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীই স্বাগত জানিয়েছে। এখন প্রশ্ন কেন অন্য কলেজেও এই নিয়ম জারি হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কলেজে পড়াশোনা করেছেন বলেই কি কলেজের যাতে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হয় সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত?
এক আইনের পড়ুয়া বলেন, “যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের পড়ুয়ারা একটি পলিশি এনেছে। পাশ করার পাঁচ বছরের মধ্যে কেউ কলেজে ঢুকতে পারবে না। যদি না কেউ সংশ্লিষ্ট ওই ছাত্রকে আমন্ত্রণ করে ডেকে আনে কলেজে। বাকি কলেজের কথা বলতে পারব না। তবে যোগেশের একটা ঐতিহ্য আছে। যেটা আমরা মেনে চলি।”
কলেজগুলিতে বহিরাগতদের দাপাদাপি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। যোগেশচন্দ্র ল কলেজে সরস্বতী পুজো কোথায় হবে সেই নিয়েও বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়। সেখানেও বহিরাগত তত্ব উঠে আসে। তখন যদিও বহিরাগতদের দাপট নিয়ে কোনও বিধি-নিষেধ জারি হয়নি। এরপর কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো শিক্ষামহলকে। ইউনিয়ন রুমের ভিতর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় রাজ্যজুড়ে। সেই কারণে আগেভাগেই এমন সিদ্ধান্ত নিল যোগেশচন্দ্র বলে দাবি শিক্ষাবিদদের একাংশের।

