Junior doctors: কর্মবিরতির অবসান? সকাল ৬টায় শেষ হল জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ ঘণ্টার বৈঠক
Junior doctors: সূত্রের খবর, কর্মবিরতি ওঠার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৈঠকে তার বিপক্ষেও মত এসেছে। বৈঠকে, কর্মবিরতি ছেড়ে আন্দোলনের বিকল্প পথ খোঁজা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালেই তা ঘোষণা করতে পারেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
কলকাতা: সকাল ৬টায় শেষ হল জুনিয়র ডাক্তারদের গভর্নিং বডির বৈঠক। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলল জুনিয়র ডাক্তারদের প্যান জিবি বৈঠক। তবে, তারপরও তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরছেন কিনা, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, কর্মবিরতি ওঠার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৈঠকে তার বিপক্ষেও মত এসেছে। বৈঠকে, কর্মবিরতি ছেড়ে আন্দোলনের বিকল্প পথ খোঁজা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালেই তা ঘোষণা করতে পারেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্পথমে নিজেদের মধ্যে একটি জিবি বৈঠক করেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর, রাত ১০টার পর সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্যান জেনারেল বডি বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত এখনও জানা না গেলেও, সূত্রের খবর এদিন এক প্রতিবাদ মিছিলের ঘোষণা করতে পারেন ডাক্তাররা। যে সকল পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সেগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য ফের সরকারকে ডেডলাইন দিতে পারেন তাঁরা, এমনটাও শোনা যাচ্ছে। মাঝে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবা দিচ্ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু, গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম আরজি কর মামলার শুনানির পরই ফের একবার, পূর্ণ কর্মবিরতির পথে হাঁটেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সাগর দত্ত হাসপাতালে নার্স ও জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহের ঘটনাকে সামনে রেখে, তাঁরা দাবি করেন, সরকার নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও কার্যক্ষেত্রে কোনই বদল ঘটেনি। যে সকল দৃশ্যমান বদল তাঁরা চাইছেন স্বাস্থ্যক্ষেত্রে, তার কিছুই এখনও ঘটেনি। তাই ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা করা হয়েছিল।
এতে সবথেকে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যের প্রায় ৭০০০ জুনিয়র ডাক্তার কাজ না করায়, বেহাল দশা স্বাস্থ্য পরিষেবার। সিনিয়র চিকিৎসকরা আপ্রাণ পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু, তাঁদের সংখ্যা অপ্রতুল। তার মধ্যে রাজ্যের একটা বড় অংশে দেখা দিয়েছে বন্যা। সামনে আবার দুর্গাপুজো। পুজোর সময় অনেক ডাক্তারই ছুটি নেন, চিকিৎসকদের সংখ্যা এমনিতেই কম থাকে। তার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চললে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায়, বৃহস্পতিবার সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে অন্যভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপরই, নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।