Kalighat Kaku: ‘কয়েকটা চাকরির জন্য পার্থবাবুকে বলেছিলাম, মেয়েও চাকরি পায়নি’, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’
Kalighat Kaku: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও আগে কথা হয়েছে। তবে চাকরি দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডল ম্যান তাপস মণ্ডলের মুখ থেকে নামফাঁসের পরেই ফের ফোকাসে ‘কালীঘাটের কাকু’ । কুন্তলের সঙ্গে পরিচয় থাকলেও মানিকঘনিষ্ঠ তাপস মন্তলকে চেনেনই না। TV9-এ সাফ দাবি ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। উল্লেখ্য, যে তাপসের মুখ থেকে প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’ নামটি শোনা যায়, সেই তাপসকে চেনেনই না সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি জানান, আগেও তদন্ত সহযোগিতা করেছেন, সিবিআই ডাকলে ফের হাজিরা দেবেন। বুধবার সকালে TV9 বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় ভদ্রের বেহালার ‘রাধারানি’ বাড়িতে। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতেই সুজয় ‘কাকু’ বললেন, “৯ ঘণ্টা সিবিআই-এর সামনে গেলাম, কথা বলে এলাম। এক বছর হয়ে গিয়েছে। তারপর আর ডাকেনি।”
সুজয়বাবু স্পষ্ট বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কোথাও সরাসরি অভিযোগ করেনি তাপস মন্ডল। তিনি বলেছেন শুনেছি। তবে কুন্তলের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল।” তিনি আরও বলেন, “আমি থাকি বেহালায়, কালীঘাটের কাকু যদি কেউ বলে আমি কী করতে পারি? তাপস মণ্ডল ও গোপাল দলপতি দু’জনে একবার করে এই নাম বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, কুন্তলের মুখে শুনেছেন এই নাম।” তিনি আরও বলেন, “তাপস মণ্ডল যেমন আমাকে চেনে না, আমিও তাঁকে চিনি না।” সুজয় ভদ্রের পাল্টা প্রশ্ন করেন, “তাপস মণ্ডলের ডায়েরির টাকা আমাকে দিয়েছেন? তাপস মণ্ডল আমাকে নিয়ে কী বলেছেন? তিনি তো বলেছে, শুনেছেন আমার কথা। এখন আমাকে কালীঘাটের কাকু বানিয়ে দিচ্ছেন।”
বাড়ি বেহালায়, কিন্তু কীভাবে তিনি কালীঘাটের কাকু হয়ে গেলেন? প্রশ্ন করা হলে সুজয় বলেন, “আমাকে কালীঘাটের অনেকেই কাকু বলে ডাকত। তাই নাম হয়ে গিয়েছে কালীঘাটের কাকু।” কুন্তলকে চিনলেও, তাঁর সঙ্গে চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আলোচনা হয়নি। কুন্তলের সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও কথাই হয়নি। কিন্তু তিনি কোনওভাবেই তাপস মণ্ডলকে চেনেন না। প্রসঙ্গত, এক বছর আগে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ডাকা হয়েছিল। সে বার তাঁকে কয়লা কেলেঙ্কারিতে ডাকা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁকে আর পরবর্তীকালে ডাকা হয়নি বলেও জানান তিনি। কিন্তু কেন তাপস মণ্ডল তাঁর নাম বারবার নিচ্ছেন? সে ক্ষেত্রে সুজয় ভদ্র জানান, তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই কাজ হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণেই এই চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সুজয় ভদ্র দাবি করেন, “চাকরি দুর্নীতির সঙ্গে আমার যোগ নেই। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। কুন্তল আমাকে কাকু বলত। আমি দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।” নিজেই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “৭৭-এর নির্বাচনে সক্রিয় ছিলাম। ১৯৮২ সাল থেকে কংগ্রেস করেছি। আমি দিদির দলের একনিষ্ঠ কর্মী।” তিনি বলেন, “আমার মেয়ে এসএসসি দিয়েও চাকরি পায়নি। আমার দাদার মেয়েরও চাকরি হয়নি। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। পার্থকে চাকরির জন্য বলেছিলাম। কারণ পার্থ আমার এলাকার বিধায়ক।”
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও আগে কথা হয়েছে। তবে চাকরি দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।