Kanchanjunga Express Accident: ডেটা লগারেই লুকিয়ে সব রহস্য! তদন্তকারীদের নজরে ‘রেলের ব্ল্যাক বক্স’
Kanchanjunga Express Train Accident: এই ডেটা লগারগুলি হল আসলে এক ধরনের বৈদ্যুতিন চিপ। অত্যাধুনিক রেকগুলির চালকের কেবিনে থাকা স্পিডোমিটারে বসানো থাকে এই ডেটা লগার। একটি রেক চলার শুরু থেকে কারশেডে ঢোকা পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য গুরুত্ব সহকারে সঞ্চিত থাকে এই ডেটা লগারের মধ্যে।
কলকাতা: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, ‘পেপার ক্লিয়ারেন্সে’ চলাচলের পথে মালগাড়ির গতি কত ছিল? কার গাফিলতিতে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিস্তর চর্চা, কাঁটাছেড়া শুরু হয়েছে। রেল দুর্ঘটনার তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে উঠে আসতে পারে ডেটা লগার। মূল রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে ডেটা লগারের মধ্যেই। সেই কারণে এই ডেটা লগার থেকেই তদন্তকারীরা এবার দুর্ঘটনার মূল শিকড়ে পৌঁছে যেতে চাইছেন।
এই ডেটা লগারগুলি হল আসলে এক ধরনের বৈদ্যুতিন চিপ। অত্যাধুনিক রেকগুলির চালকের কেবিনে থাকা স্পিডোমিটারে বসানো থাকে এই ডেটা লগার। একটি রেক চলার শুরু থেকে কারশেডে ঢোকা পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য গুরুত্ব সহকারে সঞ্চিত থাকে এই ডেটা লগারের মধ্যে। সূত্রের খবর, মাল গাড়ির চালক রাঙাপানি স্টেশন থেকে ‘পেপার সিগন্যাল’ নেওয়ার পর কত গতিতে রেকটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই তথ্য পাওয়া যেতে পারে ডেটা লগার থেকে। দুর্ঘটনার ঠিক আগে কী ঘটেছিল, প্রতিটি সেকেন্ডের আপডেট এই ডেটা লগারের মাধ্যম চলে আসতে পারে তদন্তকারীদের হাতে। বিমানে ব্ল্যাক বক্সের ভূমিকা যেরকম, ট্রেনের ক্ষেত্রেও এই ডেটা লগারের কাজও অনেকটা এই একই ধরনের।
এখনও পর্যন্ত সূত্র মারফত যা খবর, তদন্তে উঠে এসেছে রাঙাপানি স্টেশন পেরিয়ে প্রথম ৫০০ মিটার মালগাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটারের মধ্যেই রেখেছিলেন চালক। তারপর আচমকা গতিবেগে বেড়ে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই তথ্য কতটা সঠিক, তা স্পিডোমিটারে বসানো ডেটা লগারের মাধ্যমে জানতে পারবেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, মালগাড়ির চালকের কেবিনে থাকা স্পিডোমিটার থেকে ওই বৈদ্যুতিন চিপ ইতিমধ্যেই বের করা হয়েছে। সেই চিপ থেকে পাওয়া তথ্য থেকেই এবার তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখতে চাইছেন, আসলে কার গাফিলতির কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
সূত্রের খবর, আদৌ মালগাড়ির চালকের দোষ ছিল, নাকি অন্য কোনওভাবে ব্রেক ফেল করেছিল বা অন্য কোনও কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তা জানা যেতে পারে এই ডেটা লগার থেকে। তবে শুধু মালগাড়িরই নয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসেরও ডেটা লগার খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গতি কী ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।