Kasba Case: এক্সজ়স্ট ফ্যানের হোলের মধ্যে মোবাইল রেখে নির্যাতনের ভিডিয়ো রেকর্ডিং! কসবাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য চার্জশিটে
Kasba Case: সিসি ক্যামেরা ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, মূল অভিযুক্তের দুই সঙ্গী নির্যাতিতাকে কার্যত জোর করছিল অভিযুক্তের সঙ্গে থাকার জন্য। নির্যাতিতা যে বয়ান দিয়েছিলেন পুলিশের কাছে, তার যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণও জোগাড় করতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

কলকাতা: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা করেছেন তদন্তকারীরা। ১৭০ পাতার মূল চার্জশিট। মোট ৬৫০ পাতার নথিতে মূল অভিযুক্ত-সহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কসবা কাণ্ডে অভিযুক্তের দুই সঙ্গীর কীর্তি উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা চার্জশিটে যা উল্লেখ করেছেন, তা শিউরে ওঠার মতো। চার্জশিটে লেখা রয়েছে, এক্সজ়স্ট ফ্যানের হোলের মধ্যে মোবাইল রাখা থাকত। সেই মোবাইলে বন্দি হত সমস্ত দৃশ্য। তা দেখিয়েই ব্ল্যাকমেল করা হত বলে অভিযোগ। গোটা বিষয়টি করত মূল অভিযুক্তের দুই সঙ্গী।
সিসি ক্যামেরা ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, মূল অভিযুক্তের দুই সঙ্গী নির্যাতিতাকে কার্যত জোর করছিল অভিযুক্তের সঙ্গে থাকার জন্য। নির্যাতিতা যে বয়ান দিয়েছিলেন পুলিশের কাছে, তার যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণও জোগাড় করতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বয়ানে উল্লেখ একাধিক বিষয়ে কোনও অসঙ্গতি নেই বলেও পুলিশ জানাচ্ছে। অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা উল্লেখ করেছিলেন, তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন, তাঁর ইনহেলারের প্রয়োজন ছিল। ইনহেলার দিয়ে সাহায্য করা হয় কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নি, তার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে।
গত ২৫ জুন কসবার ল কলেজে এক রক্ষীর ঘরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা কলেজেই দুই ছাত্র ও এক প্রাক্তনীকে। মূলত এই প্রাক্তনীই মূল অভিযুক্ত। যিনি আবার কলেজের অস্থায়ী কর্মীও ছিলেন। গত শুক্রবার এই মামলায় চার্জশিট জমা করে পুলিশ। সূত্রে খবর, মোট ৮০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টও রয়েছে। রয়েছে ডিএনএ রিপোর্টও।

