AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

FIR-এ অভিযুক্তদের নাম না লিখে কেন J,M,P লিখল পুলিশ?

Police Negligence: অভিযোগ উঠছে, পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে। এফআইআর কপিতে উল্লেখ নেই অভিযুক্তদের নাম। বিভিন্ন ইংরেজি বর্ণ জে(J), এম(M) ও পি(P) দিয়ে তাদের বোঝানো হয়েছে।

FIR-এ অভিযুক্তদের নাম না লিখে কেন J,M,P লিখল পুলিশ?
সিল করা হচ্ছে গার্ড রুম। এখানেই ধর্ষণ করা হয় ছাত্রীকে।Image Credit: TV9 বাংলা
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2025 | 1:49 PM
Share

কলকাতা: কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের নাম লুকানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পাশাপাশি অভিযুক্তদের নাম লুকানোরও চেষ্টা। প্রভাবশালী নেতা হওয়ার কারণেই পুলিশ এত আড়ার করার চেষ্টা করছিল? উঠছে এই প্রশ্নই।

তিলোত্তমা ধর্ষণকাণ্ডের ১০ মাস পর কলকাতার বুকে ফের নিন্দনীয় ঘটনা। কলেজের মধ্যেই গণধর্ষণের শিকার প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আরজি কর হাসপাতালে তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যেমন পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল, এবার কসবা কাণ্ডেও পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল উঠল।

অভিযোগ উঠছে, পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে। এফআইআর কপিতে উল্লেখ নেই অভিযুক্তদের নাম। বিভিন্ন ইংরেজি বর্ণ জে(J), এম(M) ও পি(P) দিয়ে তাদের বোঝানো হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রশ্ন, অভিযুক্তরা কেউ নাবালক নয়, তাহলে তাদের নাম গোপন করার চেষ্টা করা হল কেন? ইচ্ছাকৃতভাবেই কি অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ?

এই বিষয়ে প্রাক্তন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এমন কোনও আইন নেই। ৪০ বছর চাকরি করেছি, প্রচুর ধর্ষণ মামলা করেছি, ফাঁসির সাজাও করিয়েছি। কোনওদিন শুনিনি যে আসামীদের নাম থাকবে না এফআইআরে। আসামীর নাম না থাকলে তো এফআইআর পূর্ণই হল না। পূর্ণাঙ্গ এফআইআরে তারিখ, সময় ও স্থানেরও উল্লেখ থাকে। নির্যাতিতার নাম বা ছবি কোনওভাবে প্রকাশ করা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার রয়েছে। গণধর্ষণের মামলায় যেখানে ২০ বছরের নীচে সাজা নেই, সেখানে কেন অভিযুক্তদের নাম থাকবে না? তাহলে তো সেটা সম্পূর্ণ এফআইআর-ই হবে না। এফআইআর কপিতে কোনও ধোঁয়াশা থাকা উচিত নয় কারণ এই এফআইআরের উপরেই আদালতে মামলা দাঁড়ায়। কেন সিনিয়র অফিসারদের এই বিষয়টা নজর এড়িয়ে গেল, জানিনা।”

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “আসলে এটা চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। একদম নতুন নিয়োগ হওয়া কনস্টেবলও জানেন পুরো নাম লিখতে হয়। জে, এম, পি নয়। নামই যদি ঠিক না থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তিই যে অভিযুক্ত, তা-ই প্রমাণ হবে না। পশ্চিমবঙ্গে আইন অপরাধীদের পক্ষে। নাহলে আমরা সবাই জানি, শুধু নাম নয়, বয়স, ঠিকানা, বাবার নাম-সব কিছুর উল্লেখ থাকে যাতে ফাঁকফোকর না থাকে। থানায় সংবিধান নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে। এই পুলিশ অফিসারদের আগে জেলে ভরা উচিত।”

সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষও বলেন, “গতকাল যখন এফআইআর সামনে এসেছিল, তখনই এই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগকারী যেখানে অভিযুক্তদের চেনে, তাহলে নাম গোপন করার কোনও কারণ নেই। সব তথ্য উল্লেখ করতে হয় এফআইআরে। দেশে এমন একাধিক উদাহরণ রয়েছে যে অপরাধ প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও এই ধরনের ভুলে সাজা পায়নি অপরাধী।”