Sinthi: চার দিনে গন্ধ হচ্ছিল প্রকট! বাড়ির ভিতরে একাকী বৃদ্ধার মর্মান্তিক পরিণতি
Sinthi: পরে খবর যায় থানায়। সিঁথি থানার পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা: সিঁথি থানা এলাকায় বন্ধ ঘর থেকে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার। মৃতার নাম কৃষ্ণা মালিক (৭০)। তিনি সিঁথি (Sinthi) এলাকার পেয়ারা বাগানের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে একাই থাকতেন বৃদ্ধা। পরিবারের অনান্য সদস্যরা অন্য জায়গায় থাকতেন। বাড়িতে পরিচারিকা আসতেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই বৃদ্ধাকে দেখা যাচ্ছিল না ঘরের বাইরে। অনেকে ভেবেছিলেন তিনি অন্যত্র গিয়ে থাকতে পারেন।
বেশ কয়েকদিন ধরেই এলাকায় দুর্ঘন্ধ বেরোচ্ছিল। কিন্তু প্রথমে বিশেষ আমল দেননি প্রতিবেশীরা। গত সোমবার থেকেই প্রকট হতে থাকে গন্ধ। উত্স খুঁজতেই স্থানীয়রা বুঝতে পারেন ওই বৃদ্ধার ঘর থেকেই তা বেরোচ্ছে। প্রথমে নিজেরাই ডাকাডাকি করেন প্রতিবেশীরা। সাড়া না মেলায় বিপদ আঁচ করেন।
পরে খবর যায় থানায়। সিঁথি থানার পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মনে করছে, তিন চার দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। কী ভাবে মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত নানা কারণেই অসুস্থ ছিলেন বৃদ্ধা।
এক প্রতিবেশী বলেন, “মাসিমা ঘর থেকে বের হতেন। তবে আবার করোনার বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় ঘরবন্দিই ছিলেন গত কয়েকদিন ধরে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো কোনও আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছেন। কিন্তু পরে ঘর থেকে গন্ধ বের হতে থাকে। পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঘর থেকে এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে তিন চার দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে। শরীরে পচন ধরেছে। কী কারণে মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Alapan Bandyopadhyay: ‘…খুন করা হবে’, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি
আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee: পাঁচ মাসেই আগেই সতর্ক করেছিলেন চিকিৎসকরা, এখনও সঙ্কটমুক্ত নন সুব্রত