Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে…’, মহাগুরুর ডায়লগ-যন্ত্রণা এবার পৌঁছাল হাইকোর্টে

কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সঙ্গে জানালেন মানিকতলা থানায় (Maniktala Police Station) তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর খারিজের আর্জিও।

'মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে...', মহাগুরুর ডায়লগ-যন্ত্রণা এবার পৌঁছাল হাইকোর্টে
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2021 | 4:58 PM

কলকাতা: ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে…’ মহাগুরুর মুখের এই ডায়লগ এবার পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টে। নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চে বাংলার মানুষের অনুরোধে এই ডায়লগ বলেছিলেন তিনি আর তাতেই মামলা! এবার সেই ডায়লগের আক্ষরিক অর্থই বা কী, কেনই বা তিনি বলেছিলেন, তার ব্যাখ্যা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সঙ্গে জানালেন মানিকতলা থানায় (Maniktala Police Station) তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর খারিজের আর্জিও।

একুশের নির্বাচনের ঠিকে আগেই ব্রিগেডের মঞ্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তাঁর হাতে তুলে দেন পদ্ম পতাকা। সেসময় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অসংখ্য মানুষের ভিড়। তাঁদের সিংহ ভাগ আবার মহাগুরু ভক্তও। সেখানে দর্শকদের ইচ্ছায় নিজের সিনেমার বিখ্যাল ডায়লগ বলেছিলেন মহাগুরু।

এরপর বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলতে একাধিক রোড শো, সভা করেছেন মহাগুরু। সেখানেও ২০১৪ সালের তাঁর সিনেমার এই বিখ্যাত ডায়লগ বলেছেন মহাগুরু। কিন্তু তাতেই কাল! নির্বাচনী মঞ্চ, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কীভাবে একজন জনপ্রতিনিধি এহেন মন্তব্য করতে পারেন, মামলা হয়ে গেল মানিকতলা থানায়। ভোটপর্ব মিটতেই ৬ মে হয় মামলা।

ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩এ, ৫০৪,৫০৫ একাধিক ধারায় এফআইএর রুজু হয়। হিংসা ছড়ানো, শান্তি নষ্টের চেষ্টার মতো একাধিক ধারায় অভিযোগ করা হয়। এই এফআইআর খারিজ চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: বেলা ১১.৩০! শাহের বাসভবনে রুদ্ধদ্বারের আলোচনায় ঠিক কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন শুভেন্দু?

মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য, তিনি আসলে তাঁর ভক্তদের অনুরোধেই কেবল বিনোদনের উদ্দেশে এই মন্তব্য করেছিলেন। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক চরিতার্থতা নেই। কিংবা হিংসাও নেই। কিন্তু কেবল একটি ডায়লগ নিয়ে এমন রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি হবে, তা আঁচ করতে পারেননি মহাগুরু।