Kolkata NCRB Report: নিরাপদতম শহরের খেতাব পেল কলকাতা! ‘অপসারিত’ বিনীতের দিকেই কৃতিত্ব ঠেলে দিলেন ভর্মা
Police Commissioner on NCRB Report: উল্লেখ্য, যে সময়কালের ভিত্তিতে এই এনসিআরবি রিপোর্ট অর্থাৎ ২০২৩ সাল। ওই সময় কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন বিনীত গোয়েল। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওই পদে অধীনস্থ ছিলেন। তারপর আরজি করের ঘটনা ও সবশেষে বিনীতের পদত্য়াগ।

কলকাতা: এই তকমার জন্য তাঁর কোনও কৃতিত্ব নেই। ওই সময় যিনি শহরের নগরপাল ছিলেন, গোটা কৃতিত্বটাই তাঁর। সম্প্রতি এই নিয়ে টানা চতুর্থ বার দেশে নিরাপদতম শহরের তকমা পেয়েছে কলকাতা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশ পাওয়া ২০২৩ সালের এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় কমেছে অপরাধ। কমেছে মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধের পরিমাণও। আপাতত, এই কেন্দ্রীয় রিপোর্ট পেয়ে খুশিতে গদগদ হয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। কোর্টে বল পেয়েছে বললেই চলে।
তবে এই নিরাপদ শহরের কৃতিত্বে নিজের ভাগ বসাতে চান না কলকাতার বর্তমান পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তাঁর কথায়, ‘এই নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। এই রিপোর্ট ২০২৩ সালের। তখন যিনি কমিশনার ছিলেন, তাছাড়াও আর যারা কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক ছিলেন, তারাই প্রতি মুহূর্তে শহরে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে কাজ করেছেন।’
তাঁর সংযোজন, ‘নিরাপদ শহরের তকমা পাওয়ার নেপথ্য পুলিশের অনেকটাই সংগ্রাম রয়েছে। এটা তো একদিনে হয়নি, অনেকটাই সময় লেগেছে। কলকাতা পুলিশ শহরের নিরাপত্তা নিয়ে নানা সময় নানা বৈঠকে বসে। আমরা জানি, মাঝে মধ্যে কিছু কিছু ত্রুটিপূর্ণ ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু আমরা সেটিকে প্রতি মুহূর্তে সংশোধনেরও চেষ্টা করি। কিছু ক্ষেত্রে এখনও সমস্যা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস সেগুলিও দ্রুত নিরাময় হবে।’
উল্লেখ্য, যে সময়কালের ভিত্তিতে এই এনসিআরবি রিপোর্ট অর্থাৎ ২০২৩ সাল। ওই সময় কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন বিনীত গোয়েল। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওই পদে অধীনস্থ ছিলেন। তারপর আরজি করের ঘটনা ও সবশেষে বিনীতের পদত্য়াগ। কলকাতা নিরাপদতম খেতাব পাওয়া খুশি রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। রাজ্যের শাসকদল অপরাধের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনেই চলে, সেই প্রসঙ্গই তুলে ধরলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এনসিআরবি-র তথ্য আমাদের দাবিই প্রমাণ করে দিল যে কলকাতা সুরক্ষিত শহর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন যে অপরাধের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।’
