R G Kar Hospital: কিছুতেই কাটছে না জট, সমস্যা মেটানোর আর্জি ডক্টর্স ফোরামের
R G Kar Hospital: আর জি করের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু ছাত্রদের এই দাবিতে সায় দিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর।
কলকাতা: জট যেন কিছুতেই কাটছে না আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital)। আন্দোলন চলবে। গতকালের সাধারণ সভার পরে জানিয়ে দেন অনশনকারীরা। এদিন আর জি করের ছাত্রদের সভায় উপস্থিত ছিলেন আরজিকরের সঙ্গে যুক্ত নন এমন কয়েকজন চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যও।
যেখানে সাধারণ মানুষ এতখানি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, সেখানে কেন বিক্ষোভরত ছাত্রদের সভায় দেখা গেল চিকিৎসকদের? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন সরকারপক্ষের প্রতিনিধিরা। এরপরই তড়িঘড়ি রোগী পরিষেবা সচল রাখার আর্জি জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হোক বিক্ষোভকারী ছাত্র এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আবেদন ফোরামের।
এদিকে, আর জি করের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু ছাত্রদের এই দাবিতে সায় দিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কী কী পদক্ষেপ করতে পারে স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্য ভবন যে পদক্ষেপগুলি করতে পারে
অতিমারির সময়ে হবু চিকিৎসকদের কর্মবিরতি বেআইনি, সে কথা জানিয়ে আদালতে যেতে পারে রাজ্য সরকার। এসএসকেএমে নার্সদের আন্দোলন তুলতে এই ভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
PGT-দের ডিউটিতে থাকা নিশ্চিত করতে বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দিতে পারেন কর্তৃপক্ষ।
ডিউটিতে না থাকলে হতে পারে শো-কজ নোটিস জারি।
ইন্টার্নদের স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল।
ডিউটিতে অনুপস্থিতি নিয়ে ভিজিল্যান্সের সম্ভাবনা রয়েছে।
ছাত্রদের সভায় উপস্থিত চিকিৎসকদের ভূমিকাও স্বাস্থ্য ভবনের আতস কাচের তলায়
জট যেন কিছুতেই কাটছে না আর জি করে। হবু ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে থমকে গিয়েছে আরজিকরের চিকিৎসা পরিষেবা। খোদ হাসপাতালের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে সেই কথা। এক্সলুসিভ সেই পরিসংখ্যান এসেছে টিভি নাইন বাংলার হাতে।
৯ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতিতে আর জি কর হাসপাতালের ইন্টার্নরা। গত বৃহস্পতিবার মানববন্ধন চলাকালীন বেলগাছিয়া ব্রিজে ইন্টার্নদের উপরে স্থানীয় কয়েকজন দুষকৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তার পরের দিনই ইন্টার্নদের ডিউটি বয়কট করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায় জুনিয়র রেসিডেন্টরাও। আর সেই সবেরই প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবায়।
জরুরি বিভাগ থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের। শনিবার সেই ছবি তুলে ধরেছিলাম আমরা। রবিবারও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। পরিসংখ্যান বলছে, কর্মবিরতি শুরু হওয়ার পরে রোগী ভর্তির সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে আর জি করে। প্রসূতি মায়েরাও রয়েছেন সেই তালিকায়।
আরও পড়ুন: Gariahat Murder: বাইরে থেকে বন্ধ দরজা, ভিতরে ক্ষতবিক্ষত দুটি ‘লাশ’! গড়িয়াহাটে জোড়া খুন
আরও পড়ুন: R G Kar Hospital: নাছোড় হবু চিকিৎসকদের ঠেকাতে এবার কী কী পদক্ষেপ করতে পারে স্বাস্থ্যভবন?