Kolkata Police: ‘সাধারণ মানুষ যদি পুলিশকে অমান্য করে…’,প্রত্যেক পুলিশের কাছে বার্তা দিল লালবাজার ইন্টেলিজেন্স বিভাগ
Lalbazaar: আরজি করের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। কলকাতা থেকে জেলা, তারপর রাজ্য-দেশ ছাপিয়ে সেই প্রতিবাদ এখন বিদেশেও শুরু হয়েছে। এ রাজ্যে প্রতিদিন পথে নামছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ।
কলকাতা: একজন সিভিক ভলান্টিয়র, অন্যজন প্রাক্তন ওসি। দু’জনই যুক্ত ছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে। আরজি করের ঘটনায় তাঁরাই এখন জেলে। একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন, অপরজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ লোপাটের। যে পুলিশের উপর আস্থা-ভরসা রেখে সাধারণ মানুষ রাতের ঘুম নিশ্চিন্তে ঘুমোন, সেই পুলিশেরই একাংশ যখন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন তখন মানুষের ভরসা উঠে যায় বললেই চলে। আর সেই বিষয় নিয়েই এবার চিন্তায় খোদ লালবাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, লালবাজারে ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে প্রত্যেক পুলিশ কর্মীকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, একটি অস্থির পরিস্থিতি কারণে সাধারণ মানুষ যদি পুলিশকে অমান্য,অপমান করতে শুরু করে এটা প্রশাসনিক মহলের জন্য ভাল নয়।
আরজি করের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। কলকাতা থেকে জেলা, তারপর রাজ্য-দেশ ছাপিয়ে সেই প্রতিবাদ এখন বিদেশেও শুরু হয়েছে। এ রাজ্যে প্রতিদিন পথে নামছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। বিচারের দাবিতে সংগঠিত আন্দোলন ক্রমশই সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হতে শুরু করেছে বলেও রাজনীতিবিদদের একাংশ মনে করেছেন। এমনকী পুলিশ বিরোধী মন্তব্য এবং কার্যকলাপ শুরু হয় বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এরপর ১৪ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার পর কার্যত পুলিশকে দফায় দফায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কেন সেদিন ভাঙচুরের ঘটনা আটকানো গেল না? কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুলিশের ভূমিকা এবং ইন্টেলিজেন্সের ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সাধারণ মানুষ।
তারপর দেখা যায় বিভিন্ন মিছিল এবং কর্মসূচি থেকে আক্রান্ত হয় পুলিশ। একই সঙ্গে অসুস্থ অবস্থায় প্রাক্তন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে বিভিন্ন হাসপাতাল ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীরা কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি তুলতে শুরু করেন। এমনকী জুনিয়র চিকিৎসকরা লালবাজারে গিয়ে সিপির পদত্যাগের পাশাপাশি তাঁকে প্রতীকী মেরুদন্ডও তুলে দেন।
এরপরই এই ধরনের একাধিক ঘটনার কথা উল্লেখ করে, লালবাজারে ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে বার্তা পাঠানো হয় প্রত্যেকটি পুলিশ কর্মীকে। কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ থানা,ডিভিশনাল অফিস এমনকী লালবাজার হেডকোয়ার্টারের প্রত্যেককে সতর্ক করা হয়।