Abhijit Ganguly: ‘করিডরে বসে প্র্যাকটিস করতেন’, কীভাবে বিচারপতি হলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? ব্যাখ্যা দিলেন কল্যাণ

Kalyan Banerjee attacks Abhijit Ganguly: কল্যাণ উল্লেখ করেছেন, ২০১৭ সালে বিচারপতি হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার আগে পর্যন্ত তিনি 'সিনিয়র অ্যাডভোকেট'-এর তকমা পাননি বলে দাবি করেছেন আইনজীবী তথা সাংসদ। তিনি বলেন, "হাইকোর্ট ওঁকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হওয়ার যোগ্য বলে মনে করেনি।"

Abhijit Ganguly: 'করিডরে বসে প্র্যাকটিস করতেন', কীভাবে বিচারপতি হলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? ব্যাখ্যা দিলেন কল্যাণ
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2024 | 5:54 PM

কলকাতা: একসময় গুরুত্বপূর্ণ সব মামলায় রায় দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায়। হাইকোর্টের বিচারপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার পর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাল শাসক দল। প্রাক্তন বিচারপতিকে ‘খরমুজ’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘ওঁর ভিতরটা লাল আর বাইরেটা গৈরিক।’ সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনের জ্ঞান, যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী কল্যাণ।

মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৫৬ বছর বয়সে কোনও আইনজীবী যদি জজ হন, তাহলে বুঝতেই পারছেন ওঁর জ্ঞান কতটা। ওঁর কিছু বন্ধু ছিলেন, তাঁরাই কলেজিয়ামে ওঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন।”

বিচারপতি হিসেবে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় সম্পর্কে কল্যাণ বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এমন কোনও মামলা নেই, যার জাজমেন্ট রিপোর্টে রয়েছে। অপদার্থ বিচারপতি ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজনৈতিক ফায়দা তুলে যা ইচ্ছা করেছেন।”

হাইকোর্টের মর্যাদা নষ্ট করেছেন বলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, “উনি কারও সঙ্গে ভদ্র ভাষায় কথা বলতেন না। কয়েকজন উকিলেরই শুধু মামলা শুনতেন। সেই উকিলরা কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন। সিপিএমের হাত ধরে সামনে আসার চেষ্টা করেছিলেন উনি। আজ বিজেপিতে যাচ্ছেন। ওঁর রুচিজ্ঞান সম্পর্কে সন্দেহ আছে।”

কল্যাণ উল্লেখ করেছেন, ২০১৭ সালে বিচারপতি হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার আগে পর্যন্ত তিনি ‘সিনিয়র অ্যাডভোকেট’-এর তকমা পাননি বলে দাবি করেছেন আইনজীবী তথা সাংসদ। তিনি বলেন, “হাইকোর্ট ওঁকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হওয়ার যোগ্য বলে মনে করেনি।”

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগ্যতা সম্পর্কে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওঁর পরিচয় কেউ কিছু জানে না। করিডরে যখন প্র্যাকটিস করত। মাথা নীচু করে… তখন রাজ্য সরকারের দু চারটে মামলা ছাড়া আর কিছু ছিল না। তবে সিপিএমের একেবারে পায়ে ধরা লোক ছিল।”

উল্লেখ্য এদিনই সাংবাদিক বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কুরুচিকর মন্তব্য করার জন্যই উনি পরিচিত।” ‘কোন পরিবার থেকে এসেছেন?’  কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এমন কথাও বলেছেন সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি।