Madan Mitra: ‘বেশি ফেসবুক কোরো না’, নির্দেশ পেয়েই সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়লেন মদন মিত্র

Madan Mitra: একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন মদন মিত্র। কখনও ফেসবুক লাইভে এসে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে, আবার কখনও ভাইরাল হয়েছে বিতর্কিত ছবি।

Madan Mitra: 'বেশি ফেসবুক কোরো না', নির্দেশ পেয়েই সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়লেন মদন মিত্র
মোদী সরকারকে আক্রমণ মদনের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2022 | 1:55 AM

কলকাতা : কামারহাটির বিধায়ককে ‘কালারফুল’ তকমা দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ‘রঙিন’ বিধায়ক মদন মিত্রের। একের পর এক ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। রীতিমতো ট্রেন্ডিং তাঁর ‘হ্যাশট্যাগ এমএম লাইভ’ (#MMLive)। কিন্তু এবার সেই সোশ্যাল মিডিয়াকেই বিদায় জানালেন মদন মিত্র। দলীয় নির্দেশের পরই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি।

কবে ছাড়ছেন, কেন ছাড়ছেন

মদন মিত্র জানিয়েছেন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকবেন তিনি। বিধায়ক বলেন, ‘আমার কাছে নির্দেশ এসেছে। আমাকে বলা হয়েছে, বেশি ফেসবুক কোরো না।’ এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

তবে তিনি জানিয়েছেন, দলীয় কোনও অনুষ্ঠান থাকলে বা কোনও খবর থাকলে, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া টিমের তরফে তা পোস্ট করা হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কিছুই ব্য়বহার করবেন না তিনি। মদন মিত্র আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নয়, দলের মুখ হিসেবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলেন। তাই দলের নির্দেশ পেয়েই সোশ্য়াল মিডিয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

ফোন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

গত সোমবার সকালেই মদন মিত্রকে ফোন করেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর, তিনি মদন মিত্রকে এই মর্মে সতর্ক করেছেন যে, কোনওভাবেই সামাজিক মাধ্যমে দলের সম্পর্কে কোনও বিবৃতি দেওয়া যাবে না। কিছু বলার থাকতেই পারে তবে তা কেবল দলের অন্দরেই আলোচনা করতে হবে।

‘বোমা’ ফাটিয়েছিলেন মদন

সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভে মদন মিত্র বলেছিলেন, “কিছু চুটকি নেতা হঠাৎ আমি দেখছি বলছে, ‘এই জানিস আমি কে’ বলে নাচানাচি করছেন।” তিনি আরও বলেছিলেন,  ‘আপনি বলছেন আপনি কেবল পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, মহাসচিবও…শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভাপতি, আপনি বলুন, কোথায় কখন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, কতটুকু করতে হবে। এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই, অভিষেকের অফিসে গেলে অভিষেককে পাওয়া যায় না। অফিসের তলায় যাঁরা দায়িত্বে থাকেন তাঁদের পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘পার্থ তো খুব ব্যস্ত! তাঁর এত ডিপার্টমেন্ট। তারপর মন্ত্রিসভা! পারছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ভারতবর্ষের বিকল্প মুখ। আর অভিষেক ভারতবর্ষের নব যৌবনের দূত। তা হলে আমরা কোথায় যাব? আমাদের বাড়িতে লোক আসলে জিজ্ঞাসা করে ওয়াশরুমটা কোন দিকে? আমরা দেখিয়ে ওদিকে। তেমনি নিয়মরক্ষা কোনদিকে বলে দিলে, সেদিকে যেতে পারি। আমারও যদি কিছু মনে হয় নিয়মরক্ষায় জানাব। পার্টি যদি মনে করে বেআইনি আমাকে চিঠি দেবে, আমি উত্তর দেব।’ এ সব বলার দেওয়ার পরই মদনকে দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : Abhishek on Kalyan: ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকই বলেছেন…মমতাই নেত্রী, দলে গণতন্ত্র আছে প্রমাণিত’, মুখ খুললেন অভিষেক