Maheshtala: মোবাইল চুরির অপবাদে উল্টো ঝুলিয়ে মার, বিদ্যুতের শক! মহেশতলার নির্মম অত্যাচারের ভিডিয়ো ভাইরাল
Maheshtala: জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলায়। ওই নাবালক কলকাতায় কাজ করতে এসেছিলেন। জিন্সের প্যান্ট রং করার একটি কারখানায় কাজে লাগে নাবালক। ওই কারখানারই মালিক শাহেনশাহ।

কলকাতা: মোবাইল চুরির অপবাদে নাবালককে ইলেক্ট্রিক শক মালিকের। ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে সন্তোষপুরের রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায়। ওই যুবককে মারধর ও ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার ভিডিয়োও সামনে এসেছে। সামাজিক মাধ্য়মে তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলায়। ওই নাবালক কলকাতায় কাজ করতে এসেছিলেন। জিন্সের প্যান্ট রং করার একটি কারখানায় কাজে লাগে নাবালক। ওই কারখানারই মালিক শাহেনশাহ। অভিযোগ, কারখানায় তাঁকে চোর অপবাদ দিয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়। শাহেনশাহর বিরুদ্ধে নাবালকের পরিবার রবীন্দ্রনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক শাহেনশাহ। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, “আমরা চোখের সামনে দেখেছি। ছেলেটা ওকে মারছে, ধরছে। বলছে ও নাকি মোবাইল চুরি করে দিয়েছে। ছেলেটাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে কারেন্টের শক দেওয়া হচ্ছিল। এইভাবে মারা যায়।” ওই কারখানায় একাধিক কর্মীকেও এভাবে মারধর করা হত বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ওই নাবালকেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না অভিযুক্তদেরও। পুলিশ তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “ডিসিপিও- (ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার)কে জানাই। একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। পুলিশ কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেটাও জানছি আমরা। নাবালককে কেন কাজে নেওয়া হল, সেটা শিশু শ্রমের আইনেও পড়বে।”

