‘ভাল ব্যবহার করতে হবে মানুষের সঙ্গে’, আধিকারিকদের ‘পরামর্শ’ মমতার
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "রাজ্যের ১০ কোটি মানুষই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এলে আমি খুশি হব।" তবে পাশাপাশি মনে করিয়ে দেন, কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পে পুরো টাকাটাই কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হয়।
‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’, এই নামে আজ দু’টি বইও প্রকাশ করেন মমতা। যারা রাজ্যে সরকারের একাধিক প্রকল্পগুলিতে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন, তাঁদের হাতে প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেন। রাজ্য সরকারের তথ্য তুলে ধরে দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের একাধিক প্রকল্পে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “রাজ্যের ১০ কোটি মানুষই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এলে আমি খুশি হব।” তবে পাশাপাশি মনে করিয়ে দেন, কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পে পুরো টাকাটাই কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হয়। কিন্তু, রাজ্যের বিমায় পুরো টাকাটাই রাজ্য দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০১১ সাল থেকে এই সমস্ত প্রকল্প চলছে। এটা কিন্তু নির্বাচনের জন্য নয়। ৭৮ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছানো গেছে। রাজ্যে ১০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে দুয়ারে সরকার।” অন্যান্য সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে মমতা বলেছেন, “১০০ দিনের কাজে ফের সবার সেরা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি কর্মদিবস। তাঁর আরও দাবি, ৬৪ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে কাজ দেওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৪ লক্ষ পরিযায়ীদের জব কার্ড বিলি করেছে রাজ্য সরকার। এক কোটির বেশি সাইকেল সবুজ সাথী প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: নাবালিকা যৌন নিগ্রহে বম্বে হাইকোর্টের ‘বিপজ্জনক’ পর্যবেক্ষণে স্থগিতাদেশ
যদিও নানা সময়ে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠছে, তবে আজও সরকারি ও বেসরকারি দুই হাসপাতালে গেলেই বিনামূল্যে চিকিৎসা হবে বলে মমতা দাবি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিকদের তাঁর উপদেশ, “সবাই খুব ভাল কাজ করেছেন, কিন্তু আরও কাজ করতে হবে। মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতার শেষে বলেন, “যে সরকার মানুষের জন্য কাজ করে সেই সরকার চিরস্থায়ী হয়।”
আরও পড়ুন: নাবালিকা যৌন নিগ্রহে বম্বে হাইকোর্টের ‘বিপজ্জনক’ পর্যবেক্ষণে স্থগিতাদেশ