Mamata Banerjee: ‘SIR-এর নামে NRC চালু করার চেষ্টা’, ইলামবাজারের সভা থেকে BLO-দের কড়া হুঁশিয়ারি মমতার
Mamata Banerjee: মমতার কথায়, "প্রত্যেকে ভোটার লিস্টে নাম তুলবেন নতুন করে। নতুন করে ভোটার লিস্টে নাম তোলার নামে NRC চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলায় যেন একজনও ভোটার লিস্টে নাম তুলতে বাদ না রাখা হয়। এটা বৈধ ভোটারদের মাথায় রাখতে হবে। কেউ বাদ দিলে প্রতিবাদ করবেন। BLO-কে বলবেন।"

কলকাতা: SIR ইস্যুতে আবারও বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের SIR-এর নামে NRC চালু করার চেষ্টা, ইলামবাজারের সভা থেকে সুর চড়ালেন তিনি। তাঁর হুঁশিয়ারি, একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে, তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না।
মমতার কথায়, “প্রত্যেকে ভোটার লিস্টে নাম তুলবেন নতুন করে। নতুন করে ভোটার লিস্টে নাম তোলার নামে NRC চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলায় যেন একজনও ভোটার লিস্টে নাম তুলতে বাদ না রাখা হয়। এটা বৈধ ভোটারদের মাথায় রাখতে হবে। কেউ বাদ দিলে প্রতিবাদ করবেন। BLO-কে বলবেন।”
উল্লেখ্য, সোমবারই বোলপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বুথ লেভেল অফিসারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা কিন্তু রাজ্য সরকারের কর্মচারী। শুধুমাত্র নির্বাচনের সময়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি লাঘু হওয়ার পর তাঁরা নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকেন। তাঁরা রাজ্য সরকারি কর্মচারী হিসাবে যেন এটা মাথায় রাখেন, একজনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাংলায় বাদ না যায়।
এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “এই তোপে আর বারুদ নেই। তাতে বিস্ফোরণ হবে না। এই নিয়ে কোনও চিন্তার নেই। SIR, NRC নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে।”
ইতিমধ্যেই SIR ইস্যুতে সংসদে সরব হয়েছে তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিহারে চলা বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রথম মামলা দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার সেই মামলায় যোগ দিতে চেয়েছে বাংলার সরকারও। রাজ্যের তরফে সওয়ালকারী হয়েছেন কপিল সিব্বল।
এমনিতেই ভিন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় SIR হলে ‘ ৯০ লক্ষ নাম বাদ’ যাওয়ার আশঙ্কা আগেই করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, “বাংলার ডেমোগ্রাফি বদলে গিয়েছে। সীমানা লাগোয়া ৯টি জেলায় গত দশ বছরে ভোটার বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় গড়ে ২৫ শতাংশ। যেখানে গোটা দেশে তা মাত্র ৭ শতাংশ। এমনকি, বিহারে তো ৩০ লক্ষ বাদ যাচ্ছে। বাংলায় ৯০ লক্ষ নাম বাদ যাবে।”

