Mamata Banerjee: জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র থেকে সব গুরুত্বপূর্ণ নথি এবার ‘ডিজিটাল লকারে’! মমতা আনলেন ‘বাংলার আই-ক্লাউড’
Banglar I Cloud: এটি এক ধরনের ডিজিটাল লকারের সঙ্গে তুলনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র থেকে শুরু করে তফসিলি জাতি ও উপজাতির শংসাপত্র, স্বাস্থ্য সাথীর সার্টিফিকেট, রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স - সব এক জায়গায় রাখা থাকবে।
কলকাতা : রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে আসার দিকে এক লম্বা লাফ দিল মমতার সরকার। উদ্বোধন হল বাংলার আই ক্লাউডের (Banglar I Cloud)। মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) কথায় এর মাধ্যমে এক ক্লিকেই সব তথ্য পেয়ে যাওয়া যাবে। নবান্ন সভাঘরে ওই বৈঠক থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। আই ক্লাউড ছাড়াও স্টেট ইন্টিগ্রেটেড পোর্টালের উদ্বোধন হয় বুধবার। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কথায়, এই দুটি উদ্যোগও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে রাজ্যের ১৫ টি পৃথক পৃথক দফতরের যে বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবাগুলি রয়েছে, তা দেখে সেই মতো আবেদন করতে পারেন নতুন উদ্যোক্তারা।
স্টেট ইন্টিগ্রেটেড পোর্টাল কী?
এই পোর্টেলের মাধ্যমে রাজ্যের ওই ১৫ টি দফতরের প্রধানরা দেখতে পারবেন, কোন জায়গায় ক’টি আবেদন পড়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি, কোনও উদ্যোগপতি বা কোনও নতুন উদ্যোক্তার কোনও বিষয়ে অভিযোগ জানানোর থাকলে, বা কোনও পরামর্শ দেওয়ার থাকলে তা এই স্টেট ইন্টিগ্রেটে়ড পোর্টালের মাধ্যমে করা যাবে। আর এই সবকিছুই দেখতে পাবেন সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিরা। উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পরামর্শ দেন, প্রত্যেক দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিদের যেন বিষয়টি ভাল করে দেখার জন্য বলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক সময়েই আমরা আইন করি। কিন্তু তার বাস্তবে কার্যকর হয় না। কারণ, আমরা সেটা দেখি না। কাজের দায়িত্ব নিলে কাজটা দেখতে হয়।” এই প্রসঙ্গে নিজের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে কটা এসএমএস এসেছে, সবকটা উত্তর দিতে হয়। আমাকেও কম খাটতে হয় না।” মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এই পোর্টালে সব মিলিয়ে মোট ১০০ টি অনলাইন পরিষেবা পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ৬৬ টি রয়েছে রাইট টু পাবলিক সার্ভিস আইন অনুযায়ী।
বাংলার আই ক্লাউডের উদ্বোধন হয় নবান্নে
এই পাশাপাশি বাংলার আই ক্লাউডেরও উদ্বোধন করা হয় নবান্ন সভাঘরে। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে বহু সার্টিফিকেট দেওয়া হয়ে থাকে। এটি এক ধরনের ডিজিটাল লকারের সঙ্গে তুলনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র থেকে শুরু করে তফসিলি জাতি ও উপজাতির শংসাপত্র, স্বাস্থ্য সাথীর সার্টিফিকেট, রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স – সব এক জায়গায় রাখা থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ব্যাঙ্কে যেমন লকার থাকে, তেমন এটাও সরকারের একটা লকার। লকারে টিপলেই সব পেয়ে যাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, বাংলা আই ক্লাউডের নামকরণ এবং লোগো উভয়ই তৈরি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাতে মানুষকে এখানে – ওখানে ঘুরতে না হয়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Trinamool Congress: তৃণমূলের মূল সংগঠন থেকে শাখা সংগঠন! ঢেলে সাজানো হবে সব স্তরেই