Calcutta High Court: স্ত্রীকে দিয়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করাত স্বামী, লঘু ধারায় মামলা দিতেই পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত
Calcutta High Court: নির্যাতিতা গৃহবধূর বক্তব্য," আমার স্বামী আমার অশ্লীল ভিডিয়ো করে তা বাংলাদেশর লোককে পাঠাত। সেগুলো দেখাত। এবার বাংলাদেশের লোকজন আসত। যাতায়াত করত। আমার স্বামীও প্রতি মাসে মাসে সে দেশে যেত। বাংলাদেশের লোকজনকে এনে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করাতেও জোর করত।"
কলকাতা: জোর করে স্ত্রীকে দিয়ে অশ্লীল ভিডিয়ো রেকর্ডের অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো আবার বাংলাদেশের লোককে দেখানোর অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা দেখে বেজায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট। বধূ নির্যাতনের ধারা দিয়ে কেন দায় সারল হাওড়ার সাঁকরাইল থানার পুলিশ?
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনা শুধুমাত্র একজন গৃহবধূ নির্যাতনের নয়। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক কোনও র্যাকেট কাজ করছে কি না তাও খতিয়ে দেখা উচিৎ ছিল পুলিশের। অর্থাৎ, এই ঘটনায় যে যে গুরুত্বপূর্ণ ধারা যুক্ত করা উচিত ছিল পুলিশর তারা সেই সব কিছুই করেনি। এখানেই বিচারপতি অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, যে মোবাইল ফোনকে ঘিরে এত অভিযোগ তা একমাস পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখানেই স্পষ্ট যাবতীয় প্রমাণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত অর্থাৎ মহিলার স্বামী অধরাই। সেই কারণে বিরক্ত হাইকোর্ট।
নির্যাতিতা গৃহবধূর বক্তব্য,” আমার স্বামী আমার অশ্লীল ভিডিয়ো করে তা বাংলাদেশর লোককে পাঠাত। সেগুলো দেখাত। এবার বাংলাদেশের লোকজন আসত। যাতায়াত করত। আমার স্বামীও প্রতি মাসে মাসে সে দেশে যেত। বাংলাদেশের লোকজনকে এনে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করাতেও জোর করত। এমনকী তা করিয়েছেও অনেকবার। আমি অসম্মতি জানালেও মারধর করত। আমার শাশুড়িও জেনে বলত যা বলছে মেনে নাও। এমকী বলত, এগুলো বাড়ির কাউকে জানালে বিপদ হবে।” আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিয়ের আগে ওই লোকটি সেলাইয়ের ব্যবসা করতেন। এক বছরের মধ্যেই এত টাকা কোথা থেকে এল যে মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশ যাচ্ছে। মেয়েটিকে যৌন হেনস্থা করা করা হচ্ছে। এত বড় ঘটনাকে শুধুমাত্র বধূ নির্যাতনের ধারায় পুলিশ কেন ফেলল তা শুধু মাত্র তারাই বলতে পারবে। বিচারপতিও উষ্মা প্রকাশ করেছন।”