Souvik Bhattacharya Case: ‘পুজোর আগে অন্তত একটু স্বস্তি দেওয়া হোক’, হাইকোর্টে কাতর আর্জি মানিক-পুত্রের

Recruitment Scam: কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ক্লাবের নামে টাকা নিতেন সৌভিক। তাঁর অ্যাকাউন্টে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, তার সব তথ্যও আদালতে দেওয়া হয়েছে। এদিকে সৌভিকের দাবি, এই ক্লাবের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।

Souvik Bhattacharya Case: 'পুজোর আগে অন্তত একটু স্বস্তি দেওয়া হোক', হাইকোর্টে কাতর আর্জি মানিক-পুত্রের
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2023 | 8:27 AM

কলকাতা: সন্দেহজনকভাবে অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করেছে ইডি। তবে সে সব অভিযোগ অস্বীকার করে আবারও জামিনের আর্জি মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র সৌভিকের। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে জামিনের আবেদন জানানো হয়েছে আগেই। এবার সৌভিকের আর্জি, পুজোর আগে তাঁকে একটু স্বস্তি দেওয়া হোক। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছিল তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিককে। তিনজনেই জেলবন্দি ছিলেন। শতরূপার অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা না পাওয়া যাওয়ায় কিছুদিন আগে তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত। এরপরই জামিনের আর্জি জানান সৌভিক। যদিও বিরোধিতা করে ইডি-র দাবি, ক্লাবের নামে টাকা তুলতেন সৌভিক।

বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে সৌভিকের আইনজীবী দাবি করেন, গ্রেফতার হওয়ার পর মাত্র একবারই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সৌভিককে। তারপর থেকে গত আট মাসে আর একবারও জেরা করা হয়নি বলে দাবি। তবে এদিনও বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ সামনে আনে ইডি।

কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ক্লাবের নামে টাকা নিতেন সৌভিক। তাঁর অ্যাকাউন্টে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, তার সব তথ্যও আদালতে দেওয়া হয়েছে। এদিকে সৌভিকের দাবি, এই ক্লাবের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। কোভিডের সময় কলেজ থেকে জোর করে টাকা নেওয়া হত বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগও মিথ্যা বলে দাবি করেন সৌভিক।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, শতরূপার অ্যাকাউন্টে কোনও বেআইনি লেনদেনের টাকা পাওয়া যায়নি, তবে এক্ষেত্রে মামলাকারী কিছু কলেজের সঙ্গে যুক্ত, যেখান থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। মানিক ভট্টাচার্যের থেকে মামলাকারী কোনও সুবিধা নিয়েছিলেন কি না সেটাও সেটা বিচার্য বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি। বিচারপতি ঘোষের পর্যবেক্ষণ, উপার্জনের অঙ্ক ও অ্যাকাউন্টের টাকার পরিমান না মিললে প্রশ্ন থেকে যাবে। সব শেষে সৌভিকের আইনজীবী যীষ্ণু সাহা বলেন, “পুজোর আগে অন্তত একটু স্বস্তি দেওয়া হোক।”