Medical College : মেডিকেল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলপ্রকাশ, একনজরে ফলাফল
Medical College : এই নির্বাচন যে বৈধ নয় তা ছাত্ররাও জানেন। তবে ছাত্রদের তরফে এই ভোট নিয়ে যদি কোনও আপত্তি না আসে তবে এই ফলাফলকে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে দেখতে ক্ষতি কী? বললেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস।
কলকাতা: ভোটের দাবিতে লাগাতার চলেছে আন্দোলন। চলেছে অনশন। বিগত কয়েক সপ্তাহে আন্দোলনকারীদের উত্তপ্ত স্লোগানে আন্দোলিত হয়েছে মেডিকেল কলেজ (Calcutta Medical College) চত্বর। অবশেষে ছাত্ররা নিজেরাই করেছেন নিজেদের ভোটদানের ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) কোনও অনুমোদন নেই। তবে সেসবে থোড়াই কেয়ার! নিজেদের উদ্যোগেই বৃহস্পতিবার এই ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা। অবশেষে বের হল নির্বাচনের ফল।
এদিন ২০টি আসনে লড়ছেন মোট ৩১ জন প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার। ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে প্রথম বর্ষ থেকে প্রথম হয়েছেন অয়ন মণ্ডল। তিনি পেয়েছেন ১৮০টি ভোট। প্রথম বর্ষে প্রতি আসনে মোট স্বীকৃত ভোটের সংখ্যা ছিল ২২০। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মানব মালি। তিনি পেয়েছেন ১৪৫টি ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা অনন্যা মুখোপাধ্যায় পেয়েছেন ১৪৫টি ভোট। চতুর্থ মহম্মদ আল মামুন শেখ পেয়েছেন ১২৮টি ভোট। যুগ্ম পঞ্চম উৎকর্ষ ভকত, সৌভিক সরকার। তাঁরা পেয়েছেন ১২৪টি ভোট।
অন্যদিকে দ্বিতীয় বর্ষে প্রতি পদে স্বীকৃত ভোটের সংখ্যা ছিল ১৭৮। সেখানে প্রথম হয়েছেন রিধ ফিজা। তিনি পেয়েছেন ১৬৬টি ভোট। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুজয় মল্লিক পেয়েছেন ১৬৩টি ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা তিথি সরকার পেয়েছেন ১৬১টি ভোট। চতুর্থ দেবর্ষি সাহা পেয়েছেন ১৫২টি ভোট।
পঞ্চম স্থানে থাকা সৌমিত মুখোপাধ্যায় পেয়েছেন ১৩২টি ভোট। তৃতীয় বর্ষের স্বীকৃত ভোটের সংখ্যা ২০২টি। প্রথম হয়েছেন ঋতম মুখোপাধ্যায়। তিনি পেয়েছেন ১৮০টি ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রত্যুষকিরণ সরকার পেয়েছেন ১৬৫টি ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা আকাশ দে পেয়েছেন ১৪৭টি ভোট। চতুর্থ দেবার্ঘ্য দে পেয়েছেন ১৩৪টি ভোট। পঞ্চম স্থানে থাকা ঋতব্রত রায় পেয়েছেন ১৩৪টি ভোট।
অন্যদিকে চতুর্থ বর্ষের স্বীকৃতি ভোটের সংখ্যা ১৮২। সেখানে প্রথম স্থানে থাকা প্রভাত কুমার পাটোয়ারি পেয়েছেন ১৫৪টি ভোট। দ্বিতীয় সাবিত হোসেন পেয়েছেন ১৪৪টি ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা অনিন্দ্য সুন্দর শতপথী পেয়েছেন ১৩৬টি ভোট। চতুর্থ সৌম্য স্বরাজ কুইলা বলেন ১২৯টি ভোট। পঞ্চম সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় পেয়েছেন ১০৯টি ভোট। প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক স্বীকৃতি না পেলেও এদিন সকাল থেকে কলেজে ভোট করাতে দেখা যায় বিনায়ক সেন, সুজাত ভদ্র, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়দের মধ্যো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই হয় সম্পূর্ণ ভোটের আয়োজন। তবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ডিএসও এই ভোটে অংশগ্রহণ করেনি।
ভোট প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “নির্বাচন কলেজ কাউন্সিলের অনুমতিক্রমে হয়নি। ফলে এই নির্বাচন যে বৈধ নয় তা ছাত্ররাও জানেন। তবে ছাত্রদের তরফে এই ভোট নিয়ে যদি কোনও আপত্তি না আসে তবে এই ফলাফলকে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে দেখতে ক্ষতি কী? যতক্ষণ না স্বাস্থ্য প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ভোট হচ্ছে ততদিন এই ফলাফলের নিরিখে কাজ চালানো যেতে পারে। আমাদের অগ্রাধিকার হল কলেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা।”