Bansdroni: ডেকেও সাড়া নেই মা-ছেলের, ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙতেই আঁতকে উঠলেন সবাই
Mother and son dead body recovered: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক থেকে দেড় বছর আগে চারতলা ওই আবাসনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ফ্ল্যাট কিনে আসেন শীলা দেবী। স্বামী দীর্ঘদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পরিজনরা ফোন করেছিলেন শীলা দেবী এবং তাঁর ছেলেকে। কিন্তু ফোনে পাননি।

কলকাতা: ফোন করেও পাননি আত্মীয়স্বজনরা। আবাসনের প্রতিবেশীরা ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙতেই আঁতকে উঠলেন সবাই। ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে এক বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলের দেহ। মঙ্গলবার বাঁশদ্রোণী নর্দান পার্কে ওই ফ্ল্যাট থেকে মা ও ছেলের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম শীলা দাশগুপ্ত (৬৯) এবং সুতীর্থ দাশগুপ্ত (৩৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক থেকে দেড় বছর আগে চারতলা ওই আবাসনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ফ্ল্যাট কিনে আসেন শীলা দেবী। স্বামী দীর্ঘদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পরিজনরা ফোন করেছিলেন শীলা দেবী এবং তাঁর ছেলেকে। কিন্তু ফোনে পাননি। তারপর আর পরিজনরা খোঁজখবর নেননি। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে ফোন করতে থাকেন পরিজনরা। কেউ ফোন না তোলায় তাঁদের সন্দেহ হয়।
এরপর আবাসনের অন্য বাসিন্দারা এদিন গ্রাউন্ড ফ্লোরের ওই ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ পেয়ে পরিজনদের জানান। এরপর তাঁরা এসে দরজায় ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কেউ সাড়া দেননি। এরপরই বাঁশদ্রোণী থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মা এবং ছেলের দেহ উদ্ধার করে। একটা ঘরে মেঝেতে দু’জনের দেহ পড়েছিল।
কীভাবে দু’জনের মৃত্যু হল, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। আত্মহত্যা নাকি পেছনে অন্য কিছু রয়েছে, তা ময়নাতদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন দু’জন। কতদিন আগে ওই ২ জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। পরিজনরা বিশ্বকর্মা পুজোর দিন (১৭ সেপ্টেম্বর) ফোন করে পাননি। তাহলে কি তার আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই ২ জনের? সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
