আইন থেকে ‘বাঁচতে’ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন! দিলীপের খোঁচার পরই বাড়ি-মুখো মুকুল

হাসপাতালে ভর্তি হওয়াকে বিজেপি আরও বাঁকা চোখে দেখছে কারণ, গতকালই শুভেন্দু অধিকারী মুকুলের শরীর নিয়ে 'বিশেষ টিপ্পনী' করেছিলেন।

আইন থেকে 'বাঁচতে' হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন! দিলীপের খোঁচার পরই বাড়ি-মুখো মুকুল
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 6:57 PM

কলকাতা: দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে বাঁচতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মুকুল রায়? আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না বিজেপি। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। মুকুলের হাসপাতালে ভর্তি হওয়াকে বিজেপি আরও বাঁকা চোখে দেখছে কারণ, গতকালই শুভেন্দু অধিকারী মুকুলের শরীর নিয়ে ‘বিশেষ টিপ্পনী’ করেছিলেন। কাকতালীয়ভাবে, তারপরই বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পিএসি-র চেয়ারম্যান।

তৃণমূলে যোগদানকারী কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক বৃহস্পতিবারই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানা গিয়েছে, বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। আজ তাঁর হাসপাতালে চেক-আপ করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শরীরে সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের অভাব রয়েছে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের। এ ছাড়া এমনিতেই তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়েই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত এসএসকেএমে থেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার এই নিয়েই মুখ খুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। মুকুল রায়ের অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আইন থেকে বাঁচার জন্য কেউ হাসপাতালে ভর্তি হতেই পারেন।” রাজনৈতিক মহলের মতে, এ ক্ষেত্রে দলত্যাগী বিরোধী আইনের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন দিলীপবাবু। তবে মুকুল যাতে সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন সেই শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি প্রধান।

প্রসঙ্গত, গতকালই মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “মুকুল বাবুকে অসুস্থ সাজিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পিএসি বৈঠকেও হাজির হচ্ছেন না। খরচ আমরা করব, হিসেব আমরা রাখব, এটাই কাটমানি খ্যাত তৃণমূলের নীতি।” খুব তাৎপর্যপূর্ণভাবে, শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরই বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হন মুকুল রায়। আর তারপরই খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ।

রাজ্য সরকারের স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প নিয়েও এ দিন মুখ খুলেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। রাজনীতি করতে চাওয়া হয়েছে। বাজেটে এর জন্য কোনও টাকা নেই। অন্য রাজ্যে এমন প্রকল্প আছে, সেই মতো তার জন্য বাজেটে টাকাও আছে। কিন্তু এই রাজ্যে বাজেটে কোনও টাকা ধরা হয়নি। তাই কেউ সেই টাকা পাচ্ছে না। বাড়ি বা অন্য কিছু বন্ধক রাখতে বলছে ব্যাঙ্ক। এটা ধোঁকাবাজি হচ্ছে।

তাঁর আরও অভিযোগ, শিল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে যে দাবি করেছেন সবটাই মিথ্যা। তাই শিল্পের এখন শোচনীয় অবস্থা এই রাজ্যে। দিলীপের আরও দাবি, তিনি বিধানসভায় থাকার সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র মিথ্যা ভাষণ দিতেন।  আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে চূড়ান্ত তৎপর ইডি, এবার দিল্লিতে ডাক পড়ল আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের